বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনায় ইদানিং বেড়ে গেছে রহস্যময় ব্যক্তিদের আনাগোনা। তাদের চালচলন, কথাবার্তা দেখে প্রাথমিকভাবে মানসিক প্রতিবন্ধী মনে হয়। কোথা থেকে তারা এসেছে, সারাদিন কোথায় ঘোরাফেরা করে, কী খায়- সঠিকভাবে এসব কেউই বলতে পারেন না। সাধারণ মানুষ তাদের এক কথায় বলেন ‘পাগল’ আবার কেউ কেউ তাদের মনে করেন কোনো দেশ বা গোষ্ঠির ‘এজেন্ট’।
আশংকার বিষয় হচ্ছে, এদের বিষয়ে কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য পুলিশ বা সমাজ সেবা অধিদফতরের কাছে নেই। সম্প্রতি খুলনাঞ্চলে বেশ কিছু জঙ্গী আটক এবং এ ধরণের সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় বেশ কিছুটা আতংকের সৃষ্টি হয়েছে নগরবাসীর মনে।
বেশ কয়েকদিন ধরে খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা গেছে, ডাকবাংলো মোড়, খালিশপুর কাস্টমস মোড়,গোয়ালখালী মোড়, রেলীগেট ট্রাক স্ট্যান্ড, সোনাডাঙ্গা বাইপাস রোড মিলিয়ে ৮/১০ টি স্থানে কয়েকজন এ ধরণের ব্যক্তি রয়েছেন যাদের কোনো নির্দিষ্ট ঠিকানা নেই। সারাদিন পথে পথেই থাকেন। বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরার সামনে খাবারের জন্য দাঁড়িয়ে থাকেন। কেউ কিছু দিলে খান, না দিলে চলে যান। রাত হলে অন্যত্র চলে যান। গোয়ালখালী বাসস্ট্যান্ড মোড়ে নাম পরিচয়হীন এ ধরণের একজনকে সারাদিন দেখা যায় দেয়ালের পোস্টার লিফলেট ও খবরের কাগজ ছিড়তে। কাস্টমস মোড় এলাকার ব্যক্তিটি পুরো স্যান্ডেল জড়ো করেন। ডাকবাংলো মোড় এলাকার ব্যক্তিটি কল্পিত কোনো ব্যক্তির উদ্দেশ্যে অশ্রাব্য গালিগালাজ করেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাধারণ মানুষ ‘পাগল’ মনে করে তাদের নিয়ে খুব বেশী আগ্রহ দেখান না। তবে তারা কোথা থেকে এসেছে এবং কেনো নির্দিষ্ট কতগুলো এলাকা বেছে নিয়ে সেখানেই রাতদিন অবস্থান করেন এবং মাঝে মাঝে লাপাত্তা হয়ে যান- এ প্রশ্নের উত্তর কারো কাছে মেলেনি।
নগরীর ডাকবাংলো এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, মাঝে মাঝে একজনকে দেখি,‘ ভিনদেশী’ ভাষায় কথা বলে। কিছু খেতে দিলে খায়, না হলে চুপ করে চলে যায়। রাতে ফুটপাতে ঘুমায়। কখনো কখনো কয়েকদিনের জন্য লাপাত্তা হয়ে যায়, আবার ফিরে আসে।
সচেতন মহল মনে করেন, বর্তমানে দেশে জঙ্গীবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বেশ উত্থান ঘটেছে। খুলনাতেও বেশ কয়েকজন জঙ্গী ইতিপূর্বে ধরা পড়েছে। কাজেই এ ধরণের সন্দেহভাজনদের নজরদারীতে আনা দরকার।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. শাহজাহান শেখ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, নগরীর ভাসমান, ভবঘুরেদের বিষয়ে কোনো তথ্য আমাদের হাতে নেই। সন্দেহজনক কাউকে মনে হলে তাকে আমরা আইনের আওতায় আনি। তিনি আরো জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা পদক্ষেপ নেব।
খুলনা জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক খান মোহাতার হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, নানা ধরণের সীমবদ্ধতার কারণে ইচ্ছে থাকলেও ভবঘুরেদের পুনর্বাসনে সমাজ সেবা কার্যালয় তেমন কিছু করতে পারছে না। বিভাগীয় শহর খুলনায় কোনো ভবঘুরে পুনর্বাসন কেন্দ্র নেই। সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সেগুলো বাস্তবায়িত হলে তাদের জন্য ভালো কিছু করা সম্ভব হবে। নগরীর ভাসমান এসব ব্যক্তিদের বিষয়ে কোনো তথ্য কার্যালয়ে নেই বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।