Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিরলে পুলিশের কাছ থেকে আসামী ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ

২৫ জনের নামে মামলা, আটক ২

বিরল (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৩:৫৯ পিএম

দিনাজপুরের বিরলে পুলিশকে মারপিট ও ধস্তাধস্তি করে আসামী ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে কাজিপাড়া গ্রামের ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে আরোও ২৫/৩০ জন। মামলার রাতেই আটক করা হয়েছে ২ জনকে। ঘটনার পর গোটা গ্রামে পুলিশ আতংক বিরাজ করছে।
তবে গ্রামবাসী ও আসামীর পরিবারের লোকজন পুলিশের উপর পাল্টা অভিযোগ করে বলেছেন, ( ৬সেপ্টম্বর/২১) সোমবার রাতে আসামী ছিনিয়ে নেয়ার মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বিরল থানার একদল সংঘবদ্ধ পুলিশ সদস্য কাজিপাড়া গ্রামে ২ দফায় তান্ডব চালিয়ে বিভিন্ন বাড়ীর দরজা ও ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর, তছনছ, ও লুটপাট করে মসিজিদের ইমাম থাকার কক্ষের দরজাসহ ভেঙ্গে নির্দোষ ২ ব্যাক্তিকে ধরে নিয়ে গেছে।

জানাগেছে, সোমবার রাত ৮ টার দিকে বিরল থানার এসআই আজাদ সংগীয় ফোর্স নিয়ে গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল করতে উপজেলার রাণীপুকুর ইউপি’র কাজিপাড়া গ্রামে যায়। এসময় নুর জামাল ওরফে খাদমুলের পুত্র গ্রেফতারী পরোয়নার আসামী মেহেদী (২২) কে আটকের ঘটনায় মেহেদীর পরিবারের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে মারপিট ধস্তাধস্তির করে পুলিশের মটরসাইকেল হতে আসামী মেহেদীকে ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় এসআই আজাদ বাদী হয়ে রাতেই ওই গ্রামের ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরোও ২৫/৩০ জনকে আসামী করে সংশ্লিষ্ট ধারায় বিরল থানার মামলা নং ৬, তাং ৭-৯-২০২১ ইং দায়ের করে। পুলিশকে মারপিট ও আসামী ছিনতাইয়ে ঘটনায় পুলিশ আবারোও রাত আড়াইটার দিকে আসামী ধরতে ওই গ্রামে অভিযান চালায় বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ ফখরুল ইসলাম। এসময় পুলিশ এজাহার নামীয় আসামী মঞ্জুর হোসেনের পুত্র সাজ্জাদ হোসেন (৪৮) ও আমজাদ হোসেনের পুত্র স্বপন (২২) কে স্থানীয় মসজিদের ইমামের কক্ষ থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে বলেও তিনি জানান।

এদিকে পলাতক আসামী মেহেদীর পরিবারের লোকজন পুলিশকে মারপিট ও আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, বিরল থানার এসআই আজাদ সংগীয় ফোর্স নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় মেহেদীকে তার বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে। এসময় মেহেদীর মা মেহেরুন নেছা তার ছেলের গ্রেফতারের বিষয় পুলিশের নিকট জানতে চাইলে পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে মেহেরুন নেছাকে মারপিট করে। এঘটনায় স্থানীয় কয়েকজন পুলিশের এ আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে ওই সুযোগে গ্রেফতার কৃত আসামী মেহেদী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ সুত্রধরে রাত আড়াইটার দিকে ২টি পিকআফ ভ্যান ও কয়েকটি মটোর সাইকেল যোগে এসে বিরল থানার একদল সংবদ্ধ পুলিশ সদস্য আবারও এই গ্রামে হানা দিয়ে বিভিন্ন জনের বাড়ীতে তান্ডব চালায়। পুলিশ পলাতক আসামী মেহেদীর বাড়ীর দরজা ভেঙ্গে বাড়ীর ভিতর প্রবেশ করে ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর, মেহেদীর মা মেহেরুন নেছা ও মামি সাহেরা খাতুনকে মারপিটসহ নগদঅর্থ স্বর্ণালংকার লুটপাট চালায় বলে পলাতক আসামী মেহেদীর পরিবারের লোকজন অভিযোগ করে বলেন। এছাড়াও পুলিশ ওই গ্রামের অনেকের বাড়ীর দরজায় আঘাত করে ক্ষতি ও ভাংচুর করে এবং মসজিদের ইমামের ঘোরের দরজা ভেঙ্গে মঞ্জুর হোসেনের পুত্র সাজ্জাদ (৪৮) ও আমজাদ হোসেন পুত্র স্বপন (২২) কে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। পুলিশ রাত আড়াইটা হতে শুরু করে প্রায় ভোর ৫টা পর্যন্ত গ্রামটিতে তান্ডব চালায় বলেও জানান এলাকাবাসী। পুলিশের মারপিটে আহত মেহেরুন নেছা দিনাজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এঘটনার পর থেকে এলাকাটিতে পুলিশ আতংক বিরাজ করছে। মঙ্গলবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, দিনাজপুর এ,এস,পি (সদর সার্কেল) সুজন সরকার ও বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ ফখরুল ইসলাম। তবে পুলিশের তান্ডব, ভাংচুর ও লটপাটের ঘটনায় এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা দায়েরের সংবাদ পাওয়া যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মামলা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ