Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মন্ত্রণালয়ের তথ্যের অপেক্ষায় দুদক

ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ই-অরেঞ্জ’র বিরুদ্ধে অন্তত ১১শ’ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং পাচারের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য না দেয়ায় এখনও সংশ্ল্ষ্টিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন সংস্থার সচিব ড. মুহা: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে ই-অরেঞ্জের বিষয়ে কাজ শুরু হবে। এ বিষয়ে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। বাণিজ্য বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তথ্য দিলে ই-অরেঞ্জের বিষয়ে কাজ শুরু করা হবে। ই-অরেঞ্জ সম্পর্কে কিছু কমিশনে আসেনি। ইভ্যালি নিয়ে যেমন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ই-অরেঞ্জ নিয়েও হয়তো জানাবে তখন আমরা কার্যক্রম শুরু করব। বিতর্কিত ই- অরেঞ্জের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্তে¡ও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানান দুদকের এই শীর্ষ কর্মকর্তা। সাংবাদিকরা জানতে চাইলে দুদক সচিব বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। বাণিজ্য বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তথ্য দিলে ই-অরেঞ্জের বিষয়ে কাজ শুরু করা হবে। ই-অরেঞ্জ সম্পর্কে কিছু কমিশনে আসেনি।

ইভ্যালি নিয়ে যেমন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ই-অরেঞ্জ নিয়েও হয়তো জানাবে তখন আমরা কার্যক্রম শুরু করব। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কেউ যদি ই-অরেঞ্জের বিষয়ে অভিযোগ করে তখন আমরা কাজ শুরু করব। রাষ্ট্রের কেউ যদি অবৈধ সম্পদ অর্জন করে, প্রতারণা করে আমরা তা দেখব। এটা আমাদের আইনগত দায়িত্ব।

তিতাস গ্যাস ও মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, তিতাসের ৩০ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রোববার ও সোমবার ৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কেউ কেউ সম্পদ বিবরণীও দাখিল করেছেন। এছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কাম-উপ-সহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এদিকে কথিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে একজন গ্রাহক তাহেরুল ইসলাম রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেছে। সেই মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন এবং তার স্বামী মাসুকুর রহমান কারাগারে রয়েছেন।

ওই মামলায় মূল মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, মালিক বীথি আকতার, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) আমানউল্লাহ চৌধুরী, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদসহ প্রতিষ্ঠানটির সব মালিককে আসামি করা হয়।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল থেকে এ নোটিশ দেয়া হয়। এতে ৭ দিনের মধ্যে ই-অরেঞ্জকে সম্পদের হিসাব দিতে বলা হয়।

নোটিশে বলা হয়েছে, গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত সম্পদ, দায় ও চলতি মূলধনের পরিমাণ কত জানাতে হবে। সরবরাহকারীদের কাছে বকেয়া থাকলে তার পরিমাণ কত, তাও জানাতে হবে। একই সময় পর্যন্ত টাকা নিয়েও পণ্য দেয়া হয়নি, এমন গ্রাহক কত এবং গ্রাহকের কাছ থেকে কী পরিমাণ অর্থ নেয়া হয়েছে তার পরিমাণ জানাতে হবে। নোটিশে ই-অরেঞ্জের মালিক হিসেবে দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। একজন সোনিয়া মেহজাবিন, অন্যজন বীথি আকতার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ