বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশেষ সংবাদদাতা, যশোর : ‘পানি সরাও মানুষ বাঁচাও’ স্লোগান তুলে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি ব্যানারে পানিবন্দীদের যশোরের শিল্পশহর নওয়াপাড়ায় রাজপথ ও রেলপথের অবস্থান কর্মসূচি পুলিশি বাধায় প- হয়ে গেছে। একপর্যায়ে পুলিশের লাঠিচার্জে সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য ইকবাল কবির জাহিদসহ আহত হন ২০ জন। এর প্রতিবাদে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। নেতৃবৃন্দ জানান, ১৩ অক্টোবর বেলা ১১টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় প্রকৌশলী, খুলনা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান এবং ১৭ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
আমাদের অভয়নগর উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বুধবার সকাল থেকে পানিবন্দী মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে যশোর-খুলনা মহাসড়কের নওয়াপাড়ার প্রেমবাগ এলাকায় আসতে শুরু করেন। কিন্তু পথে পথে পুলিশ তাদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেন সংগ্রাম কমিটির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব চৈতন্যকুমার পাল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পানিবন্দী সহ¯্রাধিক মানুষ প্রেমবাগ এলাকায় রাস্তার ওপর বসে পড়লে পুলিশ তাদের জোর করে উঠিয়ে দেয়। একপর্যায়ে পুলিশের লাঠিচার্জে সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় পলিটব্যুরো সদস্য ইকবাল কবির জাহিদ, ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব চৈতন্য পাল, সমন্বয়ক বৈকুণ্ঠ বিহারী রায়সহ ২০ জন আহত হন। তাদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। আন্দোলন কমিটির নেতারা অভিযোগ করেন, পুলিশ সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে দুর্গত মানুষের ওপর লাঠিপেটা করেছে। পরে পানিবন্দীরা এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় পশু হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সমাবেশে পুলিশের হামলায় আহত সংগ্রাম কমিটির নেতা ইকবাল কবির জাহিদ বক্তৃতা করেন। অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, আন্দোলনকারীরা পুলিশের ওপর চড়াও হলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এদিকে, টানা দুই মাসের পানিবদ্ধতার কারণে ভবদহ এলাকার মানুষ প্রচন্ড ক্ষুব্ধ। পানি নিষ্কাশনে মাত্র একটি স্ক্যাভেটর ব্যবহার করায় পানি নামছে খুব ধীরে।
দ্রুত পানি নামাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানিবদ্ধ যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর ও কেশবপুরের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।