মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিজ্ঞানীরা নানা রকম পূর্বাভাস দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, আমাদের সৌরজগতের ইতি ঘটবে কেমন করে, কখনইবা তা ঘটবে। তবে যখনই তা ঘটুক, তা প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পাবে না মানবজাতি বা কোনো পার্থিব প্রাণী। কারণ, তার আগেই প্রাণ টিকে থাকার পরিবেশ শেষ হয়ে যাবে পৃথিবী থেকে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সায়েন্স এলার্ট। এতে বলা হয়েছে, আগে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মনে করতেন এক সময় সূয্যর্ পরিণত হবে একটি প্লানেটারি নেবুলা বা নীহারিকায়। তখন তা হবে উজ্বল গ্যাস ও ধুলিকণার একটি পিণ্ড। যথেষ্ট পরিমাণ ভারি না হওয়া পর্যন্ত এ অবস্থা চলতে থাকবে। কিন্তু ২০১৮ সালে এমন পূর্বাভাস থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদদের একটি টিম। তারা দেখতে পেলেন যে, প্লানেটারি নেবুলা হলো একটি সৌরজগতের মৃত্যু দশা। সূর্যের বয়স প্রায় ৪৬০ কোটি বছর। সৌরজগতের অন্য বস্তুর বয়সের ওপর ভিত্তি করে এই বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে। কারণ, সৌরজগতের সঙ্গে সঙ্গে একই সময়ে সৃষ্টি হয়েছে সূয্যের্র এমনটা ধরা হয়। অন্যান্য নক্ষত্রের ওপর পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে জ্যোতির্বিদরা পূর্বাভাস দিয়েছেন যে, সূূয্যের্র মৃত্যু ঘটতে পারে আরো ১০০০ কোটি বছর পর। এ সময়ে আরো ঘটনা ঘটবে। প্রায় ৫০০ কোটি বছরের মধ্যে সূর্য পরিণত হবে একটি লাল জায়ান্টে। অর্থাৎ সূর্যের রঙ হবে টকটকে লাল। এর কেন্দ্রীয় অংশ ক্রমশ সঙ্কুচিত হবে। এর বাইরের স্তর বিস্তৃত হবে মঙ্গলগ্রহ পর্যন্ত। এর ফলে যা ঘটবে তা হলো, এই প্রক্রিয়ায় আমাদের গ্রহ পৃথিবী যদি তার অবস্থানে স্থির থাকে, তাহলে তাকে গ্রাস করবে সূর্য। একটি বিষয় নির্দিষ্ট। ওই সময় নাগাদ আমরা কেউই পৃথিবীতে টিকে থাকবো না। ফলে প্রায় ১০০ কোটি বছরের মধ্যে যদি মানবজাতি অন্য কোথাও তার স্থান খুঁজে না নেয়, তাহলে সমাপ্তি ঘটবে এই জাতির, তথা পৃথিবীর প্রাণের। এর কারণ, প্রতি ১০০ বছরে সূয্যর্ তার ঔজ্বল্য বৃদ্ধি করে শতকরা প্রায় ১০ ভাগ করে। এ কথা শুনতে অনেক বেশি বাড়িয়ে বলা মনে হতে পারে। কিন্তু এই ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধির কারণে পৃথিবীতে প্রাণের ইতি ঘটবে। সমুদ্রগুলো বাষ্পীভূত হয়ে খরখরে হয়ে যাবে। পৃথিবীপৃষ্ঠ এতটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠবে যে, এখানে আর কোনো পানির অণু সৃষ্টির সুযোগ থাকবে না। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, একটি নক্ষত্রকে প্লানেটারি নেবুলা গঠন করতে যে পরিমাণ ঔজ্জ্বল্য দেখা দেয়, তা তৈরি করতে মূল নক্ষত্রকে সূর্যের ভরের দ্বিগুণ ভরের হতে হয়। ২০১৮ সালে কম্পিউটার মডেলভিত্তিক এক গবেষণায় দেখা যায়, অন্য নক্ষত্রদের শতকরা ৯০ ভাগের মতো আমাদের সূর্য একটি লাল জায়ান্ট থেকে সঙ্কুচিত হয়ে একটি হোয়াইট ডর্ফ বা সাদা বামনে পরিণত হতে পারে। এরপর তার সমাপ্তি ঘটবে প্লানেটারি নেবুলায়। যখন একটি নক্ষত্র মারা যায়, তখন সে বিপুল গ্যাস এবং ধুলিকণা নির্গত করে। এটি মহাশূন্যে ‘এনভেলপ’ হিসেবে পরিচিত। একটি এনভেলপের ভর হতে হয় মূল নক্ষত্রের অর্ধেক। এটা হলো ওই নক্ষত্রের কেন্দ্রবিন্দু। এ সময়ে নক্ষত্রের টিকে থাকার জ্বালানি ফুরিয়ে যায়। ফলে সে আস্তে আস্তে মারা যেতে থাকে বলে মনে করেন বৃটেনের ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টারের জ্যোতির্বিদ আলবার্ট জিজলস্ট্রা। সারা সৃষ্টিজগতে যেসব নেবুলা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে তার সঙ্গে তুলনায় প্লানেটারি নেবুলা একটি সাধারণ বিষয়। বিখ্যাত নেবুলার মধ্যে আছে হেলিক্স নেবুলা, ক্যাটস আই নেবুলা, রিং নেবুলা, বাবল নেবুলা। সায়েন্স এলার্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।