বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রকৃতির অপরুপ লীলাভূমি মৌলভীবাজার জেলায় রয়েছে অসংখ্য পর্যটন স্পর্ট। দৃষ্টিনন্দন পর্যটন স্পটগুলো করোনার মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ২০ আগষ্ট থেকে খুলে দেয়া হয়েছে। বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে অনেক পর্যটকরা ছুটে আসছেন পরিবার পরিজন নিয়ে পর্যটন স্পটে। শর্তসাপেক্ষে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পর্যটন স্পট গুলো খুলে দেয়া হলেও অনেকেই প্রবেশের পর ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি মানছেনা।
মূল প্রবেশদ্বার অতিক্রম করার পর অধিকাংশ পর্যটকের মুখে মাস্ক পাওয়া যায় না। ছবি তোলা কিংবা অক্সিজেন গ্রহণের জন্য অধিকাংশ পর্যটকই মাস্ক রাখছেন না মুখে। তবে পর্যটকরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করেন, সে জন্য কাজ করছে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পর্যটন পুলিশ ও বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট লোকজন। তবে উম্মুক্ত পর্যটন স্পট গুলোতে কোন প্রকার নজরদারী নেই।
এ জেলায় অসংখ্য পর্যটন স্পট রয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধাবকুন্ড ইকোপার্কের জলপ্রপাত, হামহাম জলপ্রপাত, মাধবপুর লেইক, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ, বাইক্কাবিল, বর্ষিজোড়া ইকো পার্ক, মনু ব্যারেজ, হাকালুকি হাওর সহ চা বাগান।
জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে বন অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন দেশের সকল পর্যটন কেন্দ্রের মতো চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে পর্যটন স্পটে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। দেশব্যাপী লকডাউন প্রত্যাহারের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১২ আগস্টের সিদ্ধান্তে শর্তসাপেক্ষে ১৯ আগস্ট দেশের বিভিন্ন পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এই ঘোষণার একদিন পর ২০ আগষ্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে স্বাস্থ্য বিধি মেনে মৌলভীবাজারের পর্যটন স্পটের প্রধান ফটক খুলে দেয়া হয়।
জেলার পর্যটন স্পট গুলোর মধ্যে বনবিভাগের আওতাধীন মাধবকুন্ড ইকোপার্কের জলপ্রপাত, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মৎস্য বিভাগের অধিনে বাইক্কা বিল ও ন্যাশনাল টি কোম্পানীর অধিনে মাধবপুর লেইকে প্রবেশ ফি পরিশোধে পর্যটন স্পট এর প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করতে হয়। এছাড়াও অন্যন্য পর্যটন স্পট গুলো উম্মুক্ত রয়েছে।
বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস জানান, মাধবকুন্ড ইকোপার্কে দর্শনার্থী প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার পর থেকে দর্শনার্থীদের ভীর ক্রমান্নয়ে ভাড়ছে। ছুটির দিনে পর্যটকদের উপস্থিতি হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া অন্যান্য দিনে ৪ থেকে ৫‘শ দর্শনার্থী টিকেট করে প্রবেশ করছেন। যারা প্রবেশ করছেন স্বাস্থ্য বিধি মেনে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। তবে ভেতরে গিয়ে অনেকেই ছবি তোলার জন্য মাস্ক খুলে ফেলেন। টিকেট ক্রয়ের সময় সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য বলা হয়।
লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, ধীরে ধীরে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাস্ক পরা বা স্বাস্থ্যবিধি না মানলে টিকেট বিক্রি করা হচ্ছেনা। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বনবিভাগের লোক, ট্যুরিষ্ট গাইড ও পর্যটন পুলিশ ব্যপক প্রচারণা চালাচ্ছে। মাস্ক পরা না থাকলে প্রধান ফটকের ভেতর কাউকে যেতে দেয়া হচ্ছেনা। মুখে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের পর আমরা ভিতরে প্রবেশ করতে দেই। তবে অনেক পর্যটক ছবি তোলার জন্য মাস্ক খুলে পকেটে রেখে দেন। প্রতিদিন ৪ থেকে ৫‘শ দর্শনার্থী প্রবেশ করছেন। ছটির দিনে এ সংখ্যা আরও বেড়ে যায়।
বিভিন্ন স্থান থেকে নানা বয়সী ভ্রমান পিপাসু ও প্রকৃতিপ্রেমীরা প্রকৃতির অপরুপ লীলাভূমির সবুজের সমরোহের খুঁজে জেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চষে বেরাচ্ছেন। এখন থেকে যদি পর্যটন স্পট গুলো স্বাভাবিকভাবে খুলা থাকে তাহলে সরকারের লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হবে শুধু পর্যটন কেন্দ্র থেকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।