নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা লড়াই মানে ভিন্ন রোমাঞ্চ। এই দুই চিরপ্রতিদ্ব›দ্বীর লড়াইয়ের কথা শুনলেই যেন নড়েচড়ে বসেন সমর্থকরা। কাজ করে বাড়তি উন্মাদনা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দু’দল। তবে এবার আর স্বাভাবিক সময়ের মতো যে উন্মাদনা, তাতে কিছুটা ভাটা পড়েছে। কারণ করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসের নতুন বাস্তবতায় হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে থাকবে না দর্শক উপস্থিতি।
আজ রাত ১টায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হবে। তবে এই ম্যাচে কোনো টিকিট বিক্রি হচ্ছে না। অবাক করা হলেও এটাই সত্যি। সাধারণ দর্শকরা মাঠে বসে দেখতে পারবেন না ম্যাচটি। শুরুতে ১২ হাজার দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও পরে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে কনফেডারেশন অব ব্রাজিল ফুটবল (সিবিএফ)। ফলে এই ম্যাচের টিকিট বিক্রিও বন্ধ।
তবে মাত্র দেড় হাজার অতিথি উপস্থিত থাকবেন ম্যাচ ভেন্যু সাও পাওলোর স্টেডিয়ামে। সিবিএফ এক বিবৃতিতে তেমনটাই জানিয়েছে। তারা জানায়, ১২ হাজার দর্শকের করোনা পরীক্ষা করানো, ভ্যাকসিন নিয়েছে কিনা সেটা পরীক্ষা করা ও নিয়ম মেনে দর্শকদের মাঠে প্রবেশের প্রক্রিয়া তৈরির যথেষ্ট সময় নেই তাদের হাতে।
সাও পাওলো ফুটবল ফেডারেশন ও স্থানীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যৌথ সিদ্ধান্তেই দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সিবিএফ। শিগগিরই মাঠে দর্শক প্রবেশ করানোর মতো যথেষ্ট সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টাও চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে তারা।
এর আগে গত সপ্তাহে সাও পাওলোর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মাঠে ১২ হাজার দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার কথা জানায়। ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হলে মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে তারা।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ৭ ম্যাচের সবই জয় পেয়েছে ব্রাজিল। লক্ষ্যটা এবার ‘আটে আট’-এর। প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনার মতো শক্তিশালী দল হলেও রিবেইরোর আশা, তাদের জয়রথ ছুটবেই। এবারের কোপা আমেরিকার ফাইনালে এই আর্জেন্টিনার কাছেই শিরোপা হারাতে হয়েছিল ব্রাজিলকে। ওই ম্যাচের পর আবারও বিশ্বের অন্যতম সেরা দ্বৈরথের আগে রিবেইরো জানিয়ে রাখলেন, ‘টানা সাত ম্যাচ ঐতিহাসিক ব্যাপার। এখন আমরা সেটিকে আটে পরিণত করতে চাই।’
তার বার্তা স্পষ্ট, আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা ফাইনাল হারের প্রতিরোধ। যদিও কাজটি যে সহজ হবে না, সেটা জানা আছে ফ্লামেঙ্গো উইঙ্গারের। সেই কারণেই এটাও জানিয়ে রাখলেন, ‘(আর্জেন্টিনা) ম্যাচটি কঠিন হবে। এখন আমাদের বিশ্রাম প্রয়োজন, এরপর আবার শুরু হবে অনুশীলন। (কোচ) তিতে আমাদের সম্ভাব্য সেরাটা দিয়েই প্রস্তুত করবেন। আমাদের লক্ষ্য হলো- আমরা জিততে চাই।’
অন্যদিকে কোপা আমেরিকার ফাইনালের মতো এই ম্যাচেও সেলেসাওদের হারাতে চান স্ট্রাইকার লাওতারো লাওতারো, ‘ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচটি দারুণ হবে। এটা নিঃসন্দেহে অন্যরকম হবে, আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে প্রস্তুত হচ্ছি। তাদের বিপক্ষে একইভাবে ম্যাচটা খেলার চেষ্টা করব যেমনটা আমরা কোপা আমেরিকার ফাইনালে খেলেছিলাম।’
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আমেনিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে সেলেসাওরা। সমান ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে আর্জেন্টিনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।