মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আগামী ছয় মাসের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১-এর সন্ত্রাসী হামলার গোপন নথি প্রকাশের আদেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার এই নির্বাহী আদেশ দেন তিনি। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির। এই নথি প্রকাশের জন্য ওই ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে মার্কিন সরকারকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। ৯/১১-এর ওই হামলায় প্রায় ৩ হাজার মানুষ নিহত হন। এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, আজ আমি একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছি, যেখানে আমি ছয় মাসের মধ্যে বিচার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগকে নির্দেশ করে ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার বিষয়ে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের গোপন নথি প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ঘৃণিত ওই সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ২ হাজার ৯৭৭ জনের পরিবার যে অবর্ণনীয় কষ্ট ও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, সেটা আমরা কখনোই ভুলে যাব না। চলতি বছরই ৯/১১ হামলার ২০ বছর পূর্তি হবে। ওই হামলার পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ আফগানিস্তানে যুদ্ধ শুরুর নির্দেশ দেন। অভিযোগ ছিল, আল-কায়দা নেতাদের সাহায্য করছে তালেবান। গত মাসে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সব সেনাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ধারণা করা হয়, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আল কায়েদার চালানো বিমান হামলার সাথে মার্কিন মিত্র সউদী আরবের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তবে ৯/১১ হামলার বিষয়ে গঠিত কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সউদী সরকার অথবা কোনো কর্মকর্তা এই হামলার জন্য অর্থায়ন করেনি। অপরদিকে, টুইন টাওয়ারে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ দুই দশক ধরে সন্ত্রাস দমনের নামে আফগানিস্তানে যে যুদ্ধ চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র তাতে দেশটির খরচ হয়েছে আট লাখ কোটি ডলার। আর মারা গেছে ৯ লাখ ২৯ হাজার মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির কস্টস অব ওয়ার প্রজেক্ট পরিচালিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে অবশ্য বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গত ২০ বছরে দুই লাখ কোটি ডলার খরচ হয়েছে। নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৯/১১ পরবর্তী যুদ্ধগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের মোট বাজেট খরচ এবং ভবিষ্যতের বাধ্যবাধকতা ব্যয় প্রায় আট লাখ কোটি ডলার। এর মধ্যে দুই লাখ ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি খরচ করেছে মার্কিন সামরিক দপ্তর পেন্টাগন, এক লাখ ডলার দেওয়া হয়েছে সুদ হিসেবে এবং ২০৫০ সাল পর্যন্ত হতাহত সেনাদের ভবিষ্যত স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় হিসেবে খরচ হবে দুই লাখ ২০ হাজার কোটি ডলার। ৯/১১ পরবর্তী কোনো মার্কিন সরকারই যুদ্ধের ব্যয় নিয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘৯/১১ পরবর্তী যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সরকারই মোট ব্যয় হিসাব করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের চাপিয়ে দেওয়া এই যুদ্ধে দুই দশকেও শান্তির দেখা মেলেনি কখনোই। বরং বছরের পর বছর তাড়া খেয়ে বেড়ানো তালেবানই আবার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করে, হাজার হাজার সেনার দেহ কফিনবন্দি করে, দেশের ইতিহাসের দীর্ঘতম যুদ্ধ শেষ করে খালি হাতেই আফগানিস্তান থেকে ফিরতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে। আল-জাজিরা, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।