বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সুনামগঞ্জের ছাতকে স্ত্রীর ডায়েরি মামলায় স্বামী উজ্জ্বল আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নোয়ারাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন থানার এসআই মোশাররফ হোসেন। সে ছাতক পৌরসভার পশ্চিম নোয়ারাই এলাকার ফয়জুন নূরের ছেলে ও নোয়ারাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নাইটগার্ড বলে জানা গেছে। গত (১ সেপ্টেম্বর) ছাতক থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা (নং-০১) দায়ের করেন উজ্জ্বলের অপ্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী নাইমা বেগম। স্ত্রীর মামলায় স্বামী উজ্জ্বল গ্রেফতার হয়।
জানা যায়, ২০২০ সালে উজ্জ্বল আলমের সাথে বিয়ে হয় সিলেট শহরের একটি নার্সিং কলেজের ছাত্রী নাইমা বেগমের। নগরীর নিরাময় পলি ক্লিনিকে ডিউটিকালে নাইমা বেগমের সাথে পরিচয় ঘটে উজ্জ্বল আলমের। এ পরিচয় থেকেই প্রেম ও পরিণয়ের সৃষ্টি হয় তাদের মধ্যে। নাইমা বেগম বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের সিলেটিপাড়া-সাদিমাপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের কন্যা। তার জন্ম সনদ অনুযায়ী বিয়ের সময় বয়স ছিলো ১৭ বছর ১ মাস। জন্ম তারিখ ২০০৩ সালের ২০ অক্টোবর আর তাদের বিয়ে হয়েছে এফিডেভিটের মাধ্যমে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই স্বামীর ঘরে বসবাস করা অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অমিল হওয়ায় তাদের সংসারে কলহের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে একাধিক সালিশও অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বামীর স্বচ্ছলতার জন্য একাধিকবার পিতার বাড়ি থেকে নগদ টাকাও এনে দিয়েছে নাইমা। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই সে স্বামী ও স্বামীর পরিবারের নির্যাতন থেকে রক্ষা পায়নি। তাকে স্বামীর বাড়ি থেকে এক পর্যায়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়ার পর ৪ জুলাই নাইমা বেগম বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়। পরে ২৩ জুলাই স্থানীয় কাউন্সিলর সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেয়া হলেও স্বামীর পরিবারের নির্যাতন তার উপর থেকে বন্ধ হয়নি। ৩০ জুলাই স্বামীর বাড়ি থেকে জোর করে তাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এসব ঘটনায় ছাতক থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতা নাইমা বেগম। মামলায় শশুর-শাশুড়িসহ এক দেবরকেও তিনি আসামী করেন। ওই মামলায় স্বামী উজ্জ্বল আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সূত্রে জানা গেছে, তাদের বিয়ের কাবিননামায় দেন-মোহর ছিলো ৪ লক্ষ টাকা। এ বিয়ের কাবিননামা, এফিডেভিটে তারিখ ও মোহরানা বিষয়ে ব্যাপক গড়মিলও রয়েছে। এতে মূল থেকেই প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলো উজ্জ্বল আলম। এ বিয়ের ভিন্ন তারিখের দু'টি এফিডেভিটও রয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার উজ্জ্বল আলমকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নাজিম উদ্দিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।