বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অর্থ সংগ্রহের জন্য ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল ময়মনসিংহে গ্রেফতারকৃত জঙ্গিদের। এ জন্য তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র পরিকল্পনা অনুযায়ী ডাকাতির পরিকল্পনা নিয়ে জামালপুর থেকে নৌপথে ময়মনসিংহ এসে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
তারা হলেন জেএমবি’র এহসাব সদস্য- ময়মনসিংহের মো: জুলহাস উদ্দিন ওরফে কাদির ওরফে মেহেদী(৩৪) ও মো: আলাল ওরফে ইসহাক (৩৬), ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ার মো: রোবায়েদ আলম ওরফে ধ্রুব(৩৩) ও রংপুরের মো: আবু আইয়ুব ওরফে খালিদ(৩৬)।
শনিবার ( ৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মিডিয়ার অফিসার ও র্যাব-১৪ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: হান্নানুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল ও মিডিয়া সেলের পরিচালক খন্দকার আল মোমেন, র্যাব-১৪ অধিনায়ক মো: রোকনুজ্জামান প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানানো হয়, গ্রেফতারকৃত জঙ্গিরা জিজ্ঞাসাবাদে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে নানা তথ্য দিয়েছেন। তারা সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অর্থ সংগ্রাহকের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ডাকাতির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল। এজন্য তাদের জামালপুরের একটি গোপন আস্তানায় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। সেখান থেকেই তারা ডাকাতির পরিকল্পনা নিয়ে ময়মনসিংহের কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং স্বর্ণালঙ্কার দোকান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে টার্গেট নির্ধারণ করেছিল।
এ জন্য তারা গত ৩১ আগষ্ট গ্রেফতারকৃত জঙ্গিরা জামালপুরের মাদারগঞ্জ এলাকার একটি আস্তানায় জড়ো হয়ে পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা মতে গত ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে তারা জামালপুরের জামতলা চর এলাকা থেকে ব্রক্ষপুত্র নদ দিয়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকাযোগে যাত্রা শুরু করে ৩ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে ময়মনসিংহের খাগডহর এলাকায় পৌঁছায়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালালে জঙ্গিরা গুলি ছুঁড়লে র্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এক পর্যায়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার অভিযানে জঙ্গিদের কাছ থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন, ৩ রাউন্ড গুলি, ৮টি বোমা সদৃশ্য বস্তু, ৪টি ব্যাগ ও দরজা ও লক ভাঙ্গার সরঞ্জামাদি এবং একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা উদ্ধার করা হয়।
মো: হান্নানুল ইসলাম আরও জানান, জঙ্গিদের এ ডাকাতির নেতৃত্বে ছিল গ্রেফতারকৃত জঙ্গি জুলহাস ওরফে কাদেরী ওরফে মেহেদী। তার নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে দায়িত্ব পালনের পরিকল্পনা করেছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।