Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিস্তায় কমেছে ঢলের পানি

দুর্ভোগ কমেনি পানিবন্দী ও ভিটেহারা মানুষের

নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৬:০৯ পিএম | আপডেট : ৬:১১ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

নীলফামারীতে পানি কমেছে তিস্তায়। শনিবার সকাল ছয়টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

গত শুক্রবার সকাল নয়টায় ওই পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এসময় জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তা নদী বেষ্টিত ১৫ গ্রামের পাঁচ সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। শনিবার পানি কমলেও অন্তত দুই হাজার পরিবারের বাড়ীতে পানি বিরাজ করছে বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

অপরদিকে তিস্তার পানি কমলেও ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপনী ইউনিয়নের ভেন্ডাবাড়ী গ্রামে তিস্তার বাঁধ ভেঙে সহস্রাধিক পানিবন্দী পরিবারের দুর্ভোগ কমেনি। ভাঙনের শিকার হয়ে বাঁধসহ উঁচুস্থানে আশ্রয় নেয়া দুই শতাধিক পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছেন। গত ২৯ আগস্ট রাতে ওই গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডেন দুই নম্বর স্পার বাঁধটির দেড়শ মিটার ভেঙে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বাঁধের ভাঙা ওই স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ অব্যাহত থাকায় ইউনিয়নের ভেন্ডবাড়ী, ভাবনচুর, দক্ষিণ সোনাখুলি, ও কুটিপাড়া গুচ্ছগ্রাম (আশ্রয়ণ প্রকল্প) এখনো পানিবন্দি রয়েছে।

ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিনুর রহমান বলেন, ‘শনিবার তিস্তার পানি কমলেও স্পার বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করা গ্রামগুলোর মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। বাঁধের ওই ভাঙা স্থান দিয়ে নদীর পানি প্রবেশ অব্যাহত আছে। বৃষ্টির মধ্যে বাঁধে আশ্রিত ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কুটি পাড়া গুচ্ছ গ্রামের ৩৯ পরিবারকে এখনো নৌকায় চলাচল করতে হচ্ছে।’

উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন বলেন, ‘শনিবার তিস্তার পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর ও পূর্বছাতনাই গ্রামের চার শতাধিক পরিবারের বাড়ি-ঘরে পানি বিরাজ করছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ছয়টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে গত শুক্রবার সকাল নয় টায় ওই পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা বলেন, ‘শনিবার বেলা তিনটায় ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে করে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।’ ওই পয়েন্টে নদীর পানির বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নীলফারমারী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ