Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

তামিমের শূন্যতা পূরণের চ্যালেঞ্জ

পারবে সৌম্য-লিটন-নাঈমরা?

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

ওপেনিং জুটি নিয়ে সঙ্কটটা বাংলাদেশের অনেক দিনের। তবে একপাশ নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি নির্বাচক কিমিটিকে। কেননা সেখানে অটো চয়েস যে তামিম ইকবাল। ২০০৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে শুরু। এরপর থেকে ক্রিকেটের কোনো বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বা-হাতি ওপেনারকে ছাড়া বাংলাদেশ দল কল্পনাই করা যায়নি। কিন্তু এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে তামিম নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায় বিরাট এক শূন্যতা নিয়েই ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবে বাংলাদেশ দল। কিন্তু সে শূন্যতা তো পূরণ করার চেষ্টা করতে হবে! জাতীয় দলের নির্বাচকদের ভাবনা এখন এটিই। বিশ্বকাপের জন্য দল মোটামুটি গুছিয়ে ফেলেছেন তারা। কিন্তু ওপেনিং নিয়ে ভাবনাটা রয়ে যাচ্ছে বলেই, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে একটু দেরি হচ্ছে। হাতে কিন্তু বেশি সময় নেই। ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করতে হবে নির্বাচকদের। সে ক্ষেত্রে তামিমের বিকল্প দ্রুতই খুঁজে বের করতে হবে নির্বাচকদের। চলতি নিউজিল্যান্ড সিরিজই তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার যে শেষ সুযোগ!
লিটন, সৌম্য ও নাঈম- করোনার বিরতি শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর থেকে এই তিনজনকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খেলাচ্ছে বাংলাদেশ দল। গত মার্চে নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে শুরু। এরপর জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া আর চলমান নিউজিল্যান্ড সিরিজের দলেও ওপেনার হিসেবে আছেন এই তিনজনই। তামিম নিজের ফেসবুকে বিশ্বকাপ দল থেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিতে গিয়ে এ জায়গাতেই গুরুত্ব দিয়েছেন। হুট করে দলে ঢুকে তিনি এ তিন ওপেনারের একজনের জায়গাটা নিয়ে নিতে চাননি। তিনি এ বিষয়টিকে তার সরে দাঁড়ানোর অন্যতম প্রধান কারণই বলেছেন।
নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য ঘোষিত ১৯ সদস্যের দলে ওপেনার হিসেবে আছে লিটন দাস, সৌম্য সরকার আর মোহাম্মদ নাঈম। বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দলে এই তিনজনেরই থাকার সম্ভাবনা আছে। এই তিনজনের মধ্যে মূল প্রতিযোগিতাটা হওয়ার কথা সৌম্য ও নাঈমের মধ্যে। লিটন ডানহাতি হওয়ায় ওপেনিংয়ে তার জায়গায়টা প্রায় নিশ্চিতই বলা চলে। আর ছোট সংস্করণের খেলায় লিটনই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটের (১৩৩) ব্যাটসম্যান। তার সঙ্গে দুই বাঁহাতি সৌম্য আর নাঈমের যে কোনো একজনের খেলার কথা।
বাংলাদেশ যেমন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে লিটনের সঙ্গে নাঈমকে সুযোগ দিয়েছিল, আউট হয়েছিলেন ১ রানে। সেই ব্যর্থতা ঢেকে দিয়েছেন গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচেই। জ¦লে উঠেছিলেন ব্যাট হাতে। বলে বলে রান হলেও তার ৩৯ রানের মাহাত্মও ছিল কম না। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে টানা পাঁচ ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন সৌম্য। সেখানে আবার তিনি ব্যর্থ। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে কে ইনিংসের স‚চনা করবেন বাংলাদেশের হয়- সেটা সময়ের হাতেই তোলা থাকছে।
তবে পরিসংখ্যান, অভিজ্ঞতা ও বিদেশের মাটিতে রেকর্ড সৌম্যর হয়েই কথা বলে। ৬১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা সৌম্যর স্ট্রাইক রেট ১২৩.৬০। ঘরের মাঠে ১২০.৮৩ স্ট্রাইক রেট তার। দেশের বাইরের ভালো উইকেটে তা ১৩৭.৬৫। অন্যদিকে ১৮ ম্যাচ খেলা নাঈমের টি-টোয়েন্টি স্ট্রাইক রেট মাত্র ১০৯.৯০। দেশের মাটিতে ৮৭.৪১, বিদেশে মাটিতে ১২১.৩৫। লিটন যদি হন নিয়মিত ওপেনার, সে ক্ষেত্রে সৌম্য ও নাঈমের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কে হবেন বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ওপেনার, সেটি সময়ই বলে দেবে। তবে যেই সুযোগ পান না কেন, তাঁকে তামিমের শূন্যতা পূরণের গুরুভারই কাঁধে বইতে হবে। এই অবস্থানে ওপেনিংয়ের যে মানদন্ড দাঁড় করিয়ে দিয়ে গেছেন তামিম তাতে চ্যালেঞ্জটা যে বড় তা অবশ্যই জানেন সৌম্য-লিটন-নাঈমরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শূন্যতা পূরণের চ্যালেঞ্জ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ