গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘সেপ্টেম্বরের পর এডিসের প্রকোপ কমবে। কারণ, তখন আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। এটা বিশেষজ্ঞদের দেওয়া তথ্য। ডেঙ্গু নিয়ে ২০১৯ সালের তিক্ত অভিজ্ঞতার পর আমরা বসে ছিলাম না। আমরা কাজ করেছি। কীটনাশকের কার্যকারিতা নিয়ে তখন একটা বিতর্ক ছিল। আসলে তখন কীটনাশকটা মশার জন্য সহনশীল হয়ে গিয়েছিল। তবে সেই সমস্যা আমরা সমাধান করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, এখন মশক নিধনে দুই মেয়রসহ কাউন্সিলররা ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। মশক নিধনে আমরা প্রতিবেশী দেশ ভারত, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাচ্ছি। আজ শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে নগরবাসীর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিয়ে ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, মশা বাড়ার একটা নির্দিষ্ট কারণ নেই। অনেকগুলো কারণ আছে। বৈশ্বিক পরিবর্তন অবশ্যই একটা মুখ্য বিষয়। তবে মশা নিয়ন্ত্রণে জনগণেরও কিছু ভূমিকা আছে। সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব নেই এটা যেমন তারা বলতে পারবেন না, আবার জনগণও তার দায় এড়াতে পারে না।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ সেল গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, পূর্ণ বয়স্ক মশা মারার চেয়ে লার্ভা মারা বেশি জরুরি। কারণ, বড় মশা উড়ে যায়। কিন্তু লার্ভাতো আর উড়তে পারে না। ফলে এদের মারা সহজ। ২০১৯ এর পর বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, ২০২০ সালে ডেঙ্গু আরও বাড়বে। তবে সেটা হয়নি। কিন্তু তাই বলে আমি বলব না যে, তাদের গবেষণা ভুল ছিল। তারা একটি এলাকা ধরে গবেষণা চালান। তবে এটা ঠিক যে, ট্রপিক্যাল অঞ্চলে এডিসটা বেশি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্তদের কোনো সহায়তা দেওয়া হবে কি-না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তাজুল ইসলাম বলেন, আপনারা তালিকা দেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং সরকারি ফান্ড থেকে সহায়তা দেব। আর এই পর্যন্ত যারা ডেঙ্গুতে মারা গেছেন আমি তাদের পরিবারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। অনুষ্ঠানে পাবলিক পার্লামেন্টে সরকারি দল হিসেবে অংশগ্রহণ করে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং বিরোধী দল হিসেবে অংশ নেয় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
জনগণকে সচেতন করতে পরিচালিত কার্যক্রম সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আমরা ডেঙ্গু নিয়ে যে টিভিসি দেখাচ্ছি সেটা নগরবাসী একবারও দেখে বলে আমার মনে হয় না। আমার মনে হয়, বেশিরভাগ মানুষ ইন্ডিয়ান সিরিয়াল দেখে। সেটা খারাপ বলছি না। তবে আমরা মানুষকে সচেতন করতে কাজ করছি না- সেটা সঠিক না। আসলে লকডাউনের সময় মানুষ ঘরবাড়ি বন্ধ করে বাড়ি চলে গেছে। ফলে বাসার মধ্যে জমা পানি পরিষ্কার করার কেউ নেই। এটাও মশা বৃদ্ধির একটা কারণ। আমি কিন্তু প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি ভাগে ভাগ করেছি। কাউন্সিলর, শিক্ষক, ইমাম, ধর্মীয় নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি নিয়ে কমিটি করা হয়েছে মানুষকে সচেতন করতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।