মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ায় পাওয়া করোনাইরাসের নতুন ধরন ‘মিউ’ মানুষের শরীরের অ্যান্টিবডির প্রতিরোধ ভেঙে ফেলতে পারে বলে প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ আসছে। সে কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) নতুন এ ধরনটিকে তাদের পর্যবেক্ষণের তালিকায় (ভ্যারিয়েন্টস অব ইন্টারেস্ট) অন্তর্ভুক্ত করেছে। বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাসের পরিবর্তিত এ ধরনটিকে চিহ্নিত করেছেন বি.১.৬২১ হিসেবে। তবে জটিলতা এড়াতে ডব্লিউএইচও এখন গ্রিক বর্ণমালার ক্রম অনুসারে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনগুলোর নামকরণ করছে। সেই হিসেবে কলম্বিয়ায় পাওয়া এ ভ্যারিয়েন্ট নাম পেয়েছে ‘মিউ’। গত জানুয়ারিতে কলম্বিয়ায় প্রথমবারের মত ‘মিউ’ ধরনটি শনাক্ত হয়। সে সময় সেখানে কোভিডে আক্রান্তদের ৩৯ শতাংশ নতুন এ ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, কোভিড থেকে সেরে উঠলে বা টিকা নিলে শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, মিউ তা ভেঙে ফেলতে পারে। সে কারণেই গত ৩০ অগাস্ট ডব্লিউএইচও ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ তালিকায় এ ধরনটি যুক্ত করা হয়েছে। ক্রমাগত রূপ বদলাতে থাকা করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলো শনাক্তের জন্য কড়া নজরদারির অংশ হিসেবে বৈজ্ঞানিক গবেষণার তথ্য বিনিময়ের ওপরও জোর দিচ্ছেন ডব্লিউএইচওর কর্মকর্তারা।
বিপজ্জনক নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলোর গতিবিধিতে নজর রাখার সুবিধার জন্য সেগুলোকে ‘ভ্যারিয়েন্টস অব কনসার্ন’ এবং ‘ভ্যারিয়েন্টস অব ইন্টারেস্ট’ নামে দুটো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রও নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটি পর্যবেক্ষণে রেখেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি। যুক্তরাষ্ট্রে এখনও করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরনের দাপট চলছে। আক্রান্তদের ৯৯ শতাংশই এখন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের শিকার। মিউ এখনও যুক্তরাষ্ট্রে সেভাবে ছড়াতে পারেনি। তারপরও এ ধরনটির ওপর নজর রাখার ওপর জোর দিয়ে ফাউচি বলেছেন, “নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের জিন বিন্যাসে এমন কিছু পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে, যাতে ধারণা করা যায় যে, কিছু অ্যান্টিবডির প্রতিরোধ সেটা ভেদ করতে পারে। তবে উপসংহারে পৌঁছানোর মত তথ্য এখনও আমাদের হাতে নেই।”
করোনাভাইরাসের কোনো কোনো ধরন অ্যান্টিবডিকে হারিয়ে দিতে পারলেও এখন পর্যন্ত টিকাই কোভিড প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো উপায় বলে মন্তব্য করেছেন ফাউচি। তিনি বলেন, “মোদ্দা কথা বল, আমরা এটার ওপর নজর রাখছি। আমরা এ ধরনের সব কিছুকেই গুরুত্বের সঙ্গে দেখি। তবে এখনই আমরা একে বড় হুমকি মনে করছি না।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।