মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে বাদানুবাদ চলছেই। এ নিয়ে আম আদমি পার্টি, ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপি, কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের মধ্যে রীতিমত সমালেচনা অব্যাহত রয়েছে। এদিকে সাবেক সংসদ সদস্য এবং মুম্বাই কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জয় নিরুপম পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে ঢুকে ভারতের কথিত সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’কে ভুয়া বলে অভিহিত করেছেন। গত মঙ্গলবার সঞ্জয় নিরুপম বলেছেন, প্রত্যেক ভারতীয় চায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হোক, কিন্তু তা যেন ভুয়া না হয়। তিনি বলেন, রাজনৈতিক ফায়দা লাভের জন্য বিজেপি ভুয়া পদক্ষেপের কথা বলছে। জাতীয় স্বার্থে রাজনীতি হওয়া উচিত। অন্যদিকে, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রশংসার ছলে এ নিয়ে পাকিস্তানের মিথ্যে প্রচারের মুখোশ খুলে দেয়ার জন্য ওই অপারেশনের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করার দাবি তুলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এরপরেই পাক গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে ব্যাপক প্রশংসা করা হয়েছে। তারা বলছে, সবটাই যে ভারতের মিথ্যে দাবি, আসলে যে কোনো সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়নি, কেজরিওয়ালের বক্তব্যই তার প্রমাণ। কেজরিওয়াল এ ধরনের মন্তব্য করায় প্রচ- ক্ষুব্ধ হয়েছে ভারতের শাসক দল হিন্দুত্ববাদী বিজেপি। এ প্রসঙ্গে বিজেপি সংসদ সদস্য সাক্ষী মহারাজ কেজরিয়ালকে পাকিস্তানে গিয়ে নির্বাচনে লড়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন। সাক্ষী মহারাজ বলেন, কেজরিওয়াল পাকিস্তানে হিরো হয়ে গেছেন, কারণ তিনি পাকিস্তানের মতো আজেবাজে বকছেন। এ দিকে, গত মঙ্গলবার বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ কেজরিয়ালকে টার্গেট করে বলেন, উনি যেন ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অসম্মান না করেন। কেজরিওয়ালের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে রবিশঙ্কর বলেন, আপনার কী ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপরে বিশ্বাস নেই? যদি বিশ্বাস থাকে তাহলে পাকিস্তানের মিথ্যা প্রচারণায় নির্ভর করছেন কেন? সঙ্কটের সময় দেশবাসী এক স্বরে কথা বলে। রবিশঙ্কর বলেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের খবর স্বয়ং ডিজিএমও সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন। সরকার এ নিয়ে কোনো তথ্য দেয়নি। আম আদমি পার্টির নেতা আশুতোষ অবশ্য খুব দ্রুত পাল্টা জবাবে বলেছেন, আমি এটা দেখে খুব অবাক হচ্ছি যে, রবিশঙ্কর প্রসাদ পাকিস্তানের অপপ্রচারকে প্রকাশ করে দেয়ার পরিবর্তে অরবিন্দ কেজরিয়ালকে নিশানা করে প্রশ্ন করছেন। এটা বিজেপির দৃষ্টিভঙ্গির দেউলিয়াপনার প্রকাশ। অন্যদিকে, সরকার পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে একঘরে করে দেয়ার যে কৃতিত্ব দাবি করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা আনন্দ শর্মা। আনন্দ শর্মা বলেন, ভারতের ওপর একনাগাড়ে হামলার পরেও রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ সেনা মহড়া দিচ্ছে পাকিস্তান। ইরানের সঙ্গে যৌথ নৌ সেনা মহড়া হয়েছে পাকিস্তানের। সুতরাং সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের সমর্থন পেলেও পাকিস্তানকে একঘরে করার উদ্যোগ এখনো সফল হয়নি। কংগ্রেস মুখপাত্র তথা সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আনন্দ শর্মা বলেন, এর আগে ২০০৮, ২০০৯, ২০১১ এবং ২০১৩ সালেও এ ধরনের অপারেশন হয়েছে। কিন্তু সেনা বা সরকার তা নিয়ে প্রচার করেনি। এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, জিওনিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।