Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিখ তীর্থযাত্রীদের কর্তারপুর সাহেব দেখার অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:৪৭ এএম

পাকিস্তানের ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড অপারেশন সেন্টার (এনসিওসি) একটি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে কঠোর কোভিড-১৯ প্রটোকলের অধীনে এমাস থেকে শিখ তীর্থযাত্রীদের নারোয়াল জেলার করতারপুরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানক দেবের ৪৮২ তম মৃত্যুবার্ষিকী। গুরু নানক দেবের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে, ২০ সেপ্টেম্বর থেকে গুরুদ্বারে তিন দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। -অমৃতবাজার

পাকিস্তান সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিবৃতিতে রবিবার ঘোষণা করেছে যে, কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ টিকা নেওয়া তীর্থযাত্রীদের আগামী মাসে গুরু নানক শাহীর মৃত্যুবার্ষিকীতে গুরুদুয়ারা দরবার সাহেব করতারপুরে যাওয়ার অনুমতি দেবে।

পাকিস্তান বলেছে যে, তারা রিয়েল-টাইম পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (আরটি-পিসিআর) পরীক্ষার রিপোর্ট দেখাযতে হবে, যা ৭২ ঘন্টার বেশি হওয়া উচিত নয়। এ ছাড়া, বিমানবন্দরেও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট (RAT) পরিচালিত হবে এবং ইতিবাচক ফলাফলের ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিকে পাকিস্তানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

এছাড়া, নন-ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্টারভেনশন (এনপিআই) অনুযায়ী, দরবারে একবারে সর্বোচ্চ ৩০০ জনকে একত্রিত হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। এই মাসের শুরুর দিকে, পাকিস্তান ভারত সহ ১১ টি দেশ থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। ওডিশার রাজধানী শুধুমাত্র টিকা দেওয়া মানুষকে ধর্মীয় স্থানে প্রবেশের অনুমতি দেয়। করোনার ভারতীয় ডেল্টা বৈচিত্রের বিস্তারের কারণে পাকিস্তান ভারতকে ২২ মে থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ক্যাটাগরির অধীনে রেখেছিল, যার অর্থ ভারত থেকে মানুষের চলাচলকে বিশেষ অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

১৬ মার্চ, ২০২০ থেকে ভারত এবং পাকিস্তান উভয় দেশই কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষিতে তীর্থযাত্রা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিল এবং কর্তারপুর সাহেব তীর্থযাত্রার নিবন্ধনও স্থগিত করেছিল। যাইহোক, ২ অক্টোবর, ২০২০ সালে পাকিস্তান সরকার কর্তারপুর সাহেব তীর্থযাত্রা খোলার ঘোষণা দেয় কিন্তু ভারত এই সুযোগ দিতে অস্বীকার করে। ভারত ২৪ অক্টোবর, ২০১৯ তারিখে পাকিস্তানের সঙ্গে কর্তারপুর করিডোর চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তির আওতায়, সমস্ত ধর্মের ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের কর্তারপুর করিডোরের মাধ্যমে গুরুদুয়ারা কর্তারপুর সাহেব পর্যন্ত সারা বছর ভিসামুক্ত ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়।

এর আগে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছিলেন, কর্তারপুর করিডোর খোলা "পাকিস্তানের শান্তি ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির আকাঙ্ক্ষার একটি বাস্তব প্রমাণ। তিনি গুরুদুয়ারা দরবার সাহেব কর্তারপুর পরিদর্শনকালে এই মন্তব্য করেছিলেন। করিডোরের উদ্বোধনকে একটি ‘ভালো পদক্ষেপ’ আখ্যা দিয়ে জাতিসংঘ প্রধান বলেন, এটি আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির উন্নতি ঘটাবে। পৃথকভাবে টুইটারে, জাতিসংঘের প্রধান করতারপুর করিডোরকে "আশার একটি করিডোর, দুটি প্রধান শিখ তীর্থস্থানগুলোকে সংযুক্ত করেছে, এটি একটি "আন্তঃ ধর্মীয় সম্প্রীতির স্বাগত প্রতীক" বলেও উল্লেখ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ