মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তালিবানের বেঁধে দেওয়া ‘চরম সময়সীমা’ মেনেই ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান ছেড়েছে মার্কিন সেনারা। কিন্তু পুরো বাহিনী এখনও দেশে ফেরেনি। সোমবার রাতে দফায় দফায় পাকিস্তানে ঢুকেছে তাদের একাংশ।
এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের মাটিতে মার্কিন সেনাঘাঁটি তৈরির আশঙ্কায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। যদিও মঙ্গলবার ইমরান খান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ জানিয়েছেন, এই বন্দোবস্ত নিতান্তই সাময়িক।
রশিদ আহমেদ সোমবার বলেছেন, পাকিস্তানের মাটিতে দীর্ঘ মেয়াদে বিদেশি সেনা থাকবে না। যে বিদেশিরা এসেছেন, তাদের ২১ থেকে ৩০ দিনের ট্রানজিট ভিসা দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যেই তাদের ফিরে যেতে হবে।
পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছে, ২ হাজার ১৯২ জন মার্কিন সেনা তোরখাম সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে পৌঁছেছেন এবং ১ হাজার ৬২৭ জন বিমানে ইসালামাবাদে নেমেছেন।
পাকিস্তানের কট্টরপন্থী বিরোধী দল জমিয়ত উলেমা-ই ইসলামের অভিযোগ, মার্কিন সেনাদের জন্য ইসলামাবাদে হোটেলের ব্যবস্থা করেছে ইমরান সরকার।
সাবেক সেনাশাসক পারভেজ মুশারফের জমানায় পাকিস্তানের মাটিতে ঘাঁটি গেড়ে আফগানিস্তানে অভিযান চালিয়েছিল ন্যাটো বাহিনী। এবারও তার পুনরাবৃত্তি হবে বলে অভিযোগ তোলে জমিয়ত।
কিন্তু আহমেদ রশিদ সেই সম্ভাবনা নাকচ করে বলেন, পাকিস্তানে আর মুশারফ যুগের বন্দোবস্ত ফিরে আসবে না।
শুধু মার্কিন সেনা নয়, বেলুচিস্তানের চমন সীমান্ত দিয়ে বৈধভাবে কিছু আফগান নাগরিকও পাকিস্তানে এসেছেন বলে জানিয়েছেন রশিদ।
পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন, বহু মানুষ প্রতিদিন পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে চামান সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত করেন। অনেকে আফগান এ সীমান্ত থেকে পাকিস্তানে প্রবেশ করে এবং তাদের দেশে ফিরে যাওয়াকে তিনি ‘স্বাভাবিক কার্যকলাপ’ বলে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে আগতদের ভিসা প্রদানের লক্ষ্য অর্থ উপার্জন নয়। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে তহবিল তৈরির কোনো লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি। স্বাভাবিক মূল্যে তাদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে অন-অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে।
পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় বলেন, পাকিস্তান একটি ‘দায়িত্বশীল দেশ’ এবং পাকিস্তান তার জাতীয় নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক প্রত্যাশা পূরণ করে যাবে। আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানে ঐতিহাসিক একটি ভূমিকা পালন করেছে বলে এ সময় দাবি করেন তিনি।
শেখ রশিদ আহমাদ বলেন আরও দাবি করেন, ‘আফগানিস্তানের শান্তির জন্য পাকিস্তানের চেয়ে অন্য কোনো দেশ এতটা ত্যাগ স্বীকার করেনি। সবসময় আফগানিস্তানের শান্তি ও স্থিতিশীলতা পাকিস্তানের শান্তি ও স্থিতিশীলতার সঙ্গে যুক্ত।’ সূত্র : ডন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।