মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা আফগানিস্তান ত্যাগের মধ্য দিয়ে ‘স্বাধীন’ হয়েছে দেশ। তালেবানরা এমন দাবি করলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক। তারা ভয়ে স্বপ্নের বাড়িঘর ছেড়ে অন্য দেশের সীমান্তের দিকে পাড়ি জমিয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে সবার দৃষ্টি ছিল কাবুলে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এরই মধ্যে হাজার হাজার মানুষ সীমান্তের দিকে যাত্রা করেছেন। তাদের কয়েক হাজার চমন সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের ভিতরে প্রবেশ করেছেন বলে খবর দিচ্ছে অনলাইন বিবিসি। পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে সবচেয়ে ব্যস্ততম ক্রসিংয়ের অন্যতম চমন স্পাইন বল্ডক সীমান্ত। প্রতিদিন ধুলিমাখা এই শহর দিয়ে দুই দেশের হাজার হাজার ব্যবসায়ী এবং ভ্রমণকারী এক দেশ থেকে আরেক দেশে যান। কিন্তু তালেবানদের ভয়ে গত কয়েকদিনে সীমান্তের আফগান অংশে কয়েক হাজার মানুষের ঢল নেমেছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা প্রবেশ করছেন পাকিস্তানে। শত শত পুরুষের কাঁধে লাগেজ। বোরকা পরা নারীরা তাদের পিছন পিছন হেঁটে যাচ্ছেন। শিশুরা মায়ের হাত ধরে ঝুলে আছে। তীব্র গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত তাদের। তাদেরই একজন জিরকুন বিবি (ছদ্মনাম)। তিনি হাজারা স¤প্রদায়ের। অতীতে এই গ্রæপটির বিরুদ্ধে নিষ্পেষণ চালিয়েছে তালেবানরা। ফলে এবারও তাদের ভয়। কান্নায় ভেঙে পড়ে জিরকুন বিবি বলেন, বেদনায় আমার হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে। আমার শুধু একটাই জিজ্ঞাসা আমার ছেলের কি হবে। সে আমার একমাত্র ছেলে। জিরকুন বিবির ছেলে কাজ করতেন একটি বৃটিশ কোম্পানির পক্ষে। তিনি দেশ ছাড়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। দু’তিন বছরের মধ্যে হাজারা স¤প্রদায়ের বিরুদ্ধে বোমা হামলা করে তালেবানরা। এতে জিরকুন বিবি তার পুত্রবধুকে হারিয়েছেন। জিরকুন বিবি বলেন, তার মৃত্যুতে আমার মনে হলো সবই হারিয়ে ফেলেছি। দীর্ঘদিন ঘুমাতে পারিনি। আমি তালেবানদের নিয়ে খুব ভয়ে আছি। পাকিস্তান পৌঁছার আগে জিরকুন বিবি সীমান্তের কাছে একটি ছোট্ট অস্থায়ী আবাসে অবস্থান করছিলেন। সেখানে আফগানিস্তানের বিভিন্ন অংশ থেকে হাজারা স¤প্রদায়ের নারী ও শিশুরা সমবেত হয়েছেন। দুই মেয়ে এবং নাতনীদের নিয়ে রাজধানী কাবুলের বাড়ি ছেড়ে এসেছেন জিরকুন বিবি। তিনি যখন কথা বলছিলেন, তখন তার কোলের ওপর বসা নাতনী। তাকে দেখে বোঝা যায়, এখন গৃহহারা সে, বিষয়টি বুঝতে পেরেছে। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।