মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
'আব্দুল-আলী' তার আসল নাম নয়। তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের জীবনকে উদ্বিগ্ন করেছে, যখন তাকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করার ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হয়। কারণ, ব্রিটেনের হোম অফিস (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) তাকে নিরাপত্তা হুমকি বলে মনে করে। –স্কাই নিউজ
এদিকে আব্দুল-আলি বলেছেন, তিনি জানেন না কেন তিনি এবং তার পরিবার যুক্তরাজ্যের দ্বারা ঝুঁকির মুখে পড়বেন এবং ব্রিটিশ সরকারকে তিনি আহবান করছেন যেন তাদেরকে হত্যার আগে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়। তিনি স্কাই নিউজকে বলেন, এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আমাদের জন্য খুবই বিপজ্জনক। এটি একটি জরুরি অবস্থা, এটি খুবই সংকটজনক। তালেবানরা আমার মতো মানুষকে হত্যা করছে, দোভাষীরা হচ্ছে তালেবানদের প্রধান টার্গেট, তারা আমাদের হত্যা করতে চায়। তবে আব্দুল-আলী পরিবারের সদস্যরাসহ বর্তমানে কাবুলে তালেবানদের কাছ থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন।
আফগান যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সাথে বছরের পর বছর চাকরি করার পর, তিনি এবং তার পরিবারকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশে প্রত্যাখ্যান করা একটি চিঠি পেয়েছেন তিনি। আবদুল-আলী দু’বার কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষা করেছিলেন কিন্তু তার যুক্তরাজ্যে আসার অনুরোধ প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল। ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের চিঠিতে বলা হয়েছে, তাদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। কারণ, তারা "জাতীয় নিরাপত্তার" জন্য হুমকি এবং তাদের "যুক্তরাজ্যে উপস্থিতি জনস্বার্থে সহায়ক হবে না"।
তিনি বলেন, এটা বাইরে বিশ্বাসযোগ্য নয়, কথাটা দূর্বল। আমরা আমার এক বন্ধুর বাড়ির একটি বেসমেন্টে লুকিয়ে আছি এবং বাইরে তালিবানরা রাস্তায় টহল দিচ্ছে মানুষের দরজায় কড়া নাড়ছে। একদল প্রবীণ সেনা যারা আবদুল-আলীর সাথে ছয় মাস কাজ করেছেন, তাকে এবং তার পরিবারকে নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। আবদুল-আলি ব্রিটিশ বাহিনীর সাথে কাজ করেছিলেন, এমনকি সামরিক কর্মীদের মতো সেনাবাহিনীর সরঞ্জামও পরতেন। কিন্তু হোম অফিস তাকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে অস্বীকার করেছে।
এদিকে কর্পোরাল ভ্যান্স বেকন-শাররাট বিশ্বাস করেন, দেশ তার কাছে ঋণী। তিনি বলেন, আমি মনে করি আমরা একজন বন্ধুকে পেছনে ফেলে এসেছি, সে আমাদের একজন। আমি চাই তার জন্য আমরা কিছু করতে পারতাম। আমার মনে হয়, দেশ তার কাছে ঋণী এবং আমাদের তাকে সাহায্য করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের মতো একই ইউনিফর্মে তার ছবি আছে। সে তার বাহুতে ব্রিটিশ পতাকা পরে এবং আমরা যা বিশ্বাস করতাম, তাতে সে বিশ্বাস করত। এখন সে একটি বেসমেন্টে কোথাও তার জীবনের নিরাপত্তার জন্য লুকিয়ে আছে। আবদুল-আলি এখন আত্মগোপনে আছেন, কারণ তিনি আশঙ্কা করছেন যে, তালেবানরা ব্রিটিশ বাহিনীর সাথে কাজ করার দায়ে তাকে হত্যা করবে। কর্পোরাল ভ্যান্স বেকন-শাররাট আরও বলেন, তিনি আমাদের দেশের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন, যখন ইংল্যান্ডের অনেক মানুষ তখন যুদ্ধ করছিল না। তিনি আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আমি তাকে ব্রিটিশ হিসাবে মনে করি, আমি তাকে পরিবারের সদস্য হিসাবে মনে করি।
আবদুল-আলী কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিশৃঙ্খলা এবং বিপদকে মোকাবেলা করে নিরাপদ ফ্লাইটে উঠতে দুবার চেষ্টা করেন। কিন্তু যুক্তরাজ্যে আসার জন্য তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় তিনি এবং তার পরিবার বন্ধুর বাড়িতে ফিরে যান, যেখানে তারা এখন একটি বেসমেন্টে লুকিয়ে আছে। আবদুল আলী বলেন, আমি আমার এবং আমার পরিবারের জন্য আমাদের সমস্ত বায়োমেট্রিক ডেটা সহ আবেদন প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছি। কিন্তু ২০ দিন পরে তারা আমাদের ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করে তা ফেরত পাঠিয়েছে। তারা কেন তা প্রত্যাখ্যান করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তিনি বলেন, আমি মোটেও ঝুঁকি নয়। আমি কোনো হুমকি নই।
এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে বহু বছর চাকরি করার পর আবদুল-আলীর মতো অনেকেই এখন আবার তালেবানদের রোষের মুখোমুখি। এবিষয়ে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, আফগানিস্তানে এমন কিছু মানুষ আছেন, যারা জাতীয় নিরাপত্তা এবং জননিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি। এজন্য সরকার, আমাদের বিশ্বমানের গোয়েন্দা সংস্থা এবং অন্যান্যরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে চেকিং করছে। যদি কাউকে আমাদের দেশের জন্য ঝুঁকি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।