Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রেকর্ড গড়া জয় রাজশাহীর

প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার ; ইনিংস পরাজয় এড়াতেই করতে হতো দারুণ কিছু। সেটা তো বহু দূর, লড়াই করতেই পারেনি চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরা। গোটা ইনিংসে ছিল না কোনো অর্ধশত রানের জুটি। যা একটু লড়াই করেছেন কেবল ইয়াসির আলি রাব্বি। আগের ম্যাচে ৯০ রানে আউট হওয়ার পর তরুণ ব্যাটসম্যান এবার ৭৮ রানে থমকে যান সঙ্গীর অভাবে। মুক্তার আলির ব্যাটে আরেকটু দীর্ঘায়িত হয়েছে রাজশাহীর রান উৎসব। পরে বল হাতেও জ্বলে উঠেছেন মুক্তার। সঙ্গে সতীর্থদের দারুণ বোলিংয়ে তৃতীয় দিনেই ধরা দিয়েছে বিশাল জয়।
জাতীয় লিগে চট্টগ্রামকে ইনিংস ও ২৪২ রানে হারিয়েছে রাজশাহী। সাবেক চ্যাম্পিয়নদের এটি জাতীয় লিগে সবচেয়ে বড় জয়। সব দল মিলিয়ে এর চেয়ে বড় জয় আছে মাত্র একটি। গত বছরই জানুয়ারিতে বরিশালকে ইনিংস ও ৪১৩ রানে হারিয়ছিল ঢাকা বিভাগ।
গতকাল সকালে ব্যাট হাতেও দারুণ এক ইনিংস খেলেন মুক্তার। ৯০ রান নিয়ে দিন শুরু করা হামিদুল ইসলাম এলবিডবিøউ হয়ে যান আর ২ রান করেই। ৩ ছক্কায় মুক্তারের ৬০ রানের ইনিংসে সাড়ে পাঁচশ ছাড়ায় রাজশাহী। সেই স্কোর ছিল চট্টগ্রামের নাগালের অনেক বাইরে! ১৬৩ বলে ১৪৪ রানের ইনিংসটির জন্য ম্যাচসেরা রাজশাহীর ওপেনার মিজানুর রহমান।
এদিকে সোহরাওয়ার্দী শুভর ঘূর্ণি-জাদুতে জয় দেখছে রংপুর বিভাগ। রংপুরের দেওয়া ১৫৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে ৭৯ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়েছে সিলেট বিভাগ। ৭ উইকেটের ৬টিই নিয়েছেন রংপুরের স্পিনার শুভ। জয়ের জন্য শেষ দিনে সিলেটের চাই আরো ৭৫ রান। আর রংপুরের প্রয়োজন ৩ উইকেট। দ্বিতীয় রাউন্ডে দ্বিতীয় স্তরের এই ম্যাচে রংপুরের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২১৭ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সিলেটের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ২১৪ রান।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৯১ রান নিয়ে গতকাল তৃতীয় দিন শুরু করা জাকির হাসান তুলে নেন সেঞ্চুরি। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ২০৩ বলে ৯ চার ও এক ছক্কায় ১১২ রান করেন তরুণ উইকেটকিপার এই ব্যাটসম্যান। সিলেট তোলে ২৪৭ রান। ৩০ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৮৩ রানেই অলআউট হয়ে যায় রংপুর। সর্বোচ্চ ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন সাজেদুল ইসলাম। সিলেটের শাহানুর রহমান নেন ৪ উইকেট। ১৫৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৩৮ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে সিলেট। প্রথম ৪টি উইকেটই নেন শুভ। দলীয় ৪৩ রানে আবুল হাসানকে ফেরান মাহমুদুল হাসান। এরপর শুভর বলে দ্রæত বিদায় নেন রাজিন সালেহ ও শাহানুর রহমানও। তখন ৫৫ রানেই ৭ উইকেট নেই সিলেটের। নাসুম আহমেদকে (১৫*) নিয়ে দিনের বাকি সময়টা কাটিয়ে দেন অলোক কাপালি (১৮*)। সিলেটের আউট হওয়া সাত ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন কেবল ইমতিয়াজ হোসেন (২৬)। ১৩ ওভারে ৩৮ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন শুভ।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে বরিশালের করা ৪১৯ রানের জবাবে মাত্র ২৪৫ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়ে মেট্রো। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে তারা। তৃতীয় দিন শেষে ঢাকা মেট্রোর স্কোর ১ উইকেটে ১৩৩। এখনো ৪১ রানে পিছিয়ে আছে মার্শাল আইয়ুবের দল। সাদমান ৬৫ ও আসিফ ২১ রানে অপরাজিত আছেন।
মার্শাল ২৬ ও মেহরাব ২৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে। বেশিক্ষণ ব্যাট চালাতে পারেননি দুজন। মেহরাব ৩২ রানে সাজঘরে ফেরার পর মার্শাল ৪১ রানে আউট হন। মেহরাবের ফিরে যাবার পর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ আশরাফুল। প্রত্যার্তনের ম্যাচে বল হাতে ভালো করায় তার কাছ থেকে প্রত্যাশা বেড়ে যায়। কিন্তু আশরাফুলও দলকে ফলোঅনের হাত থেকে বাঁচাতে পারেননি। ৬৩ বলে ২৬ রান করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। এ ছাড়া আরাফাত সানি ও আবু হায়দার ১৫ করে রান স্কোরবোর্ডে যোগ করেন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলীয় ২৪৫ রানে আউট হন মোহাম্মদ শহীদ (৪)।
আর বগুড়ার চান্দু স্টেডিয়ামে প্রথম স্তরের খুলনা ও ঢাকা বিভাগের ম্যাচে অতি বৃষ্টির কারণে আউটফিল্ড ভেজা থাকায় গতকালও একটি বল মাঠে গড়ায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রেকর্ড গড়া জয় রাজশাহীর

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ