শিশু নয়ন হত্যা মামলায় আসামি মো. রফিকের জামিন আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। এছাড়া পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)র এসআই মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় এক আসামির জামিনও স্থগিত করা হয়েছে। হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষের করা স্থগিত আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগীয় বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সরকারপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

তিনি জানান, ২০১৬ সালের ১১ নভেম্বর জয়দেবপুরে শিশু নয়নকে গলাটিপে হত্যার পর লাশ গুম করা হয়। দুইদিন পর ১৩ নভেম্বর পুলিশ আসামি মো. রফিককে গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নয়নের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত ২৫ মে রফিককে জামিন দেন হাইকোর্ট। রফিক কারামুক্ত হন। এ পরিস্থিতিতে সরকারপক্ষ ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে। শুনানি শেষে রফিকের জামিন স্থগিত এবং আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন আদালত।
এদিকে বিত্তশালীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করে আসছিল একটি চক্র। এ চক্রের কবলে পড়েন সিআইডি কর্মকর্তা মো. মামুন ইমরান খান। তাকে ধরে নিয়ে হত্যার পর লাশ পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে গাজীপুরের জঙ্গলে ফেলে দেয়া হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় ২০১৮ সালের ১০ জুলাই মামলা করেন। এ মামলার কয়েক দিনের মাথায় ১৯ জুলাই ফারিয়া বিনতে মীমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে।
সিআইডি কর্মকর্তা হত্যা মামলায় প্রকৃত আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয়ের পরিবর্তে ঢাকার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন চাঁদপুরের আবু ইউসুফ লিমন। গতবছর ২০ অক্টোবরের এ ঘটনা চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। গত ৩ জুন ইউসুফকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন ঢাকার এক নম্বর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। আপিল বিভাগ তাই প্রকৃত আসামি হৃদয়কে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।