Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

তালেবানের সমর্থনে তৎপর পাকিস্তান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০২১, ১২:০২ এএম

কাবুল পতনের পর থেকে পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক অংশীদারদের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বার্তা দিয়ে আসছে যে, আফগানিস্তান থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখা যাবে না এবং আফগান তালেবানদের নেতৃত্বে সেখানে আগত সরকারকে সুযোগ দেয়া উচিত। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সাথে জড়িত কর্মকর্তারা দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে বলেন, পাকিস্তানের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে একটি বিবেচ্য দৃষ্টিভঙ্গি ছিল যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই তালেবানদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করা উচিত নয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি তার সাম্প্রতিক চার জাতির সফরের সময় এই বার্তাটি দিয়ে এসেছেন। তিনি তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং ইরান সফর করে এসেছেন। আফগানিস্তানের ভবিষ্যতে অংশীদার হওয়ার কারণে তিনি সম্ভবত দেশগুলোতে আরও সফর করবেন।
কর্মকর্তারা বলেছেন, পাকিস্তান যখন আফগানিস্তানে নতুন সেটআপের জন্য সমর্থন দেয়ার কথা বলেছে। তারা আফগান তালেবানকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সবার অংশীদারিত্ব ভিত্তিক সরকার গঠন করতে বলেছে। এখন পর্যন্ত তালেবান ইতিবাচক সংকেত দিয়েছে বলে কর্মকর্তারা যোগ করেছেন। দোহা ভিত্তিক কাতারি চ্যানেল আল-জাজিরা জানিয়েছে যে, তালেবান একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। অন্তর্র্বতীকালীন সেট -আপে শুধু তালেবানদের নয়, অন্যান্য জাতি ও গোষ্ঠীর সদস্যদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পাকিস্তানের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আফগান তালেবানকে ঠিক এই কথাই বলে আসছি।’ তিনি বিশ্বাস করেন যে, কোনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির আগে তালেবানদেরও দেশীয় গ্রহণযোগ্যতা প্রয়োজন। ‘এবং এটা তখনই সম্ভব যখন তারা (তালেবান) দেশের সকল জাতিগোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে কাজ করবে,’ কর্মকর্তা যোগ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুরেশি শনিবার এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছেন যে, পাকিস্তান অগ্রগতির পথে আফগান তালেবান নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তিনি বলেন, তালেবানরা ইতিবাচক সংকেত দিচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, যেহেতু তারা (তালেবান) ইতিবাচক সংকেত দিচ্ছে তাহলে বিশ্বকে অবশ্যই তাদের উৎসাহিত করতে হবে। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি এড়াতে এবং আফগানিস্তানকে একা ছেড়ে না যেতে আহবান জানান। তিনি বলেন, ‘যদি আফগানিস্তানকে একা ফেলে রাখা হয় তাহলে সেটা হবে সবার জন্য দুর্যোগ।’ সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও আফগান তালেবানদের জন্য বিশ্বের সমর্থন চেয়েছেন। তিনি বলেছিলেন যে, তালেবানরা ঠিক তাই করছে যা বিশ্ব চেয়েছিল। ইমরান যোগ করেন, তালেবান মানব ও নারীর অধিকারকে সম্মান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারে সম্মত হয়েছিল এবং তারা আফগানদের মাটি আবার সন্ত্রাসীদের দ্বারা ব্যবহার হতে দেবে না। সূত্র : ট্রিবিউন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ