Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বনাথে খাজাঞ্চি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে একটি গ্রাম

বিশ্বনাথ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০২১, ২:৫০ পিএম

সিলেটের সুরমা নদী থেকে উৎপত্তি হওয়া একটি উপনদীর নাম খাজাঞ্চি নদী। বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের হাজারিগাঁও সংলগ্ন সুরমা নদী থেকে এ নদীটির জন্ম হয়। খাজাঞ্চিগাঁও, রাজাগঞ্জ, বৈরাগী বাজার, টুকের বাজার হয়ে জগন্নাথপুরে গিয়ে এ নদীটি কুশিয়ারায় মিলিত হয়েছে। এক সময় এই খড়শ্রæতা নদী দিয়ে লঞ্জ, বড় বড় ইঞ্জিন নৌকা চলাচল করত। সময়ের ব্যবধানে নদীটি প্রায় মৃত। কিন্তু কোন কোন অংশে নদীটি তার যৌবন হারায়নি।
সরেজমিন দেখা যায়, খাজাঞ্জি ইউনিয়নের রাজাগঞ্জ বাজারের দক্ষিনে গোবিন্দ নগর গ্রামের পাশে পূর্বদিকে মোড় নিয়েছে নদীটি। শীতকালে নদীর পানি কমলে কিংবা বর্ষাকালে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে এই মোড়ে প্রবল ভাঙ্গন শুরু হয়। গত কয়েক বছরে গোবিন্দ নগর গ্রামের পূর্ব ও উত্তরাংশে একটি বাড়ি, রাস্তা ও কয়েকটি কবর নদীগর্ভে বিলিণ হয়েছে। গ্রামবাসি বিভিন্নভাবে বাশ দিয়ে আড় বেঁধে বালুর বস্তা ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেও ভাঙ্গন রোধ করতে পারছেন না। পানির ঢেউয়ে বালুর বস্তা বাশ চুখের পলকেই পানিতে তলিয়ে যায়। আর মাত্র কয়েক ফুট জায়গা ভেঙ্গে গেলে নদীর তীরের বাড়ি ঘর ও গোবিন্দ নগর জামে মসজিদ এবং পাশের কবরস্থানটি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে। এনিয়ে গ্রামবাসি আতংকে রয়েছেন। ভাঙ্গনের পাশ দিয়ে ছোট ছোট যানবাহন কিংবা পায়ে হেটে যেতেও ভয় পাচ্ছেন মানুষ।
এই ভাঙ্গন দেখতে সরেজমিনে সাবেক পাণি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ভাঙ্গন এলাকা পরিদশন করে নদী সংরক্ষনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। গত বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনকালীন সময়ে চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া গ্রামবাসির এক বৈঠকে তিনি নির্বাচিত হলে নদী ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। সরকারের কাছে এলাকাবাসির দাবি, জরুরী ভিত্তিতে এই ভাঙ্গন রোধ না করলে এই গ্রামটি নদীগর্ভে চলে যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভাঙ্গন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ