মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
হাইকমিশন এবং ব্রিটিশ পাকিস্তানি এমপিদের কয়েক সপ্তাহের তদবির সত্তে¡ও বৃহস্পতিবারের পর্যালোচনার পরও তালিকায় কোন পরিবর্তন দেখা যায়নি। অর্থাৎ পাকিস্তান এখনও যুক্তরাজ্য সরকারের ভ্রমণ লাল তালিকায় রয়ে গেছে। যুক্তরাজ্য সরকারের এ সিদ্ধান্ত পাকিস্তান থেকে আসা ভ্রমণকারীদের জন্য একটি ধাক্কা। এর ফলে যারা যুক্তরাজ্যে আসবেন তাদের ১০ দিনের বাধ্যতামূলক হোটেল কোয়ারেন্টাইনের মুখোমুখি হতে হবে। এর ফলে তারা যুক্তরাজ্যে আসলে ২ হাজার ২৫০ পাউন্ড খরচ করতে হবে।
ম্যানচেস্টারের লেবার এমপি গর্টন শ্যাডো হাউস অব কমন্সের ডেপুটি লিডার আফজাল খান টুইট করেছেন: ‘পাকিস্তানকে লাল তালিকায় রাখা সংক্রান্ত সরকারের সিদ্ধান্তে সম্পূর্ণ হতাশ। আফগানিস্তানের সঙ্কট চলমান থাকায় প্রধান মানবিক সহায়তা প্রদানে পাকিস্তান একটি বিশাল ভ‚মিকা পালন করতে পারে। এ সিদ্ধান্ত অনেককে বিব্রত করবে এবং বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটাবে’।
জনাব খান তাকে লেখা পরিবহন বিষয়ক সংসদীয় আন্ডার সেক্রেটারি এমপি রবার্ট কোর্টসের একটি চিঠি টুইট করেছেন, যিনি গত ভ্রমণ পর্যালোচনার সময় পাকিস্তানকে লাল তালিকায় রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জনাব খানের চিঠির জবাব দিয়েছিলেন।
মি. কোর্টস বলেছিলেন, ‘পাকিস্তানের লাল তালিকায় থাকার সিদ্ধান্তের প্রভাব ব্যক্তিদের উপর পড়বে তা আমি স্বীকার করি, তবে, এটা ঠিক যে, সরকার কোভিড-১৯-এর নতুন স্ট্রেন আমদানি হওয়ার ঝুঁকি কমাতে যা করতে পারে তা করে যুক্তরাজ্যে’।
তিনি আরো বলেন, যুক্তরাজ্যে কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন প্রোগ্রামের সঙ্কটময় সময়ে ‘নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে’।
চিঠিতে মি. কোর্টস বলেন, ‘জিনোমিক নজরদারির মতো বৃহত্তর নজরদারি পদ্ধতির মাধ্যমে উদ্বেগের ধরনগুলো সনাক্ত করা হয়, কিন্তু এর জন্য ক্ষমতা এবং সক্ষমতা সীমিত’। ‘ইউকে ডেটা দেখায় যে, পাকিস্তান থেকে সাপ্তাহিকভাবে অপেক্ষাকৃত বেশি সংখ্যক ভ্রমণকারী যুক্তরাজ্যে আসছিল, তাদের মধ্যে করোনা পরীক্ষায় তুলনামূলকভাবে উচ্চহারে পজেটিভ ছিল’।
চিঠিতে যোগ করা হয়েছে, ‘পাকিস্তানকে লাল তালিকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য মন্ত্রীদের নিশ্চিত হতে হবে যে, যুক্তরাজ্যে করোনা আমদানির উদ্বেগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে’।
এ মাসের শুরুর দিকে, যুক্তরাজ্যে পাকিস্তানের হাইকমিশনার মোয়াজ্জেম আহমেদ খান পাকিস্তানের অবস্থা অ্যাম্বারে পরিবর্তনের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন, যা হোটেল কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজনীয়তা শেষ করবে। জনাব খান বলেন যে, যুক্তরাজ্য সরকারের সাথে তথ্য বিনিময় করা হচ্ছে এবং তিনি যোগ করেছেন যে, তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে পাকিস্তানের বিষয়টি তুলেছেন।
বুধবার হাইকমিশনার স্বাস্থ্য ও সামাজিক যত্ম বিভাগের পার্লামেন্টারি আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট লর্ড বেথেলের সঙ্গে পাকিস্তানের সর্বশেষ তথ্য শেয়ার করেছেন। পাকিস্তান অ্যাম্বার তালিকায় স্থানান্তরের ব্যাপারে তদবির এবং আশাবাদ সত্তে¡ও বৃহস্পতিবারের আপডেটে পাকিস্তানের মর্যাদার কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।
টুইটারে জারি করা এক বিবৃতিতে হাইকমিশন বলেছে, ‘পাকিস্তানকে লাল তালিকায় রাখার সিদ্ধান্তে হতাশ। হাজার হাজার পাকিস্তানি এবং ব্রিটিশ পাকিস্তানিদের জন্য নিরন্তর কষ্টের কারণ। সমস্ত প্রাসঙ্গিক তথ্য শেয়ার করা হয়েছিল। ইক্যুইটি এবং নিয়মের ধারাবাহিকতা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যাচ্ছে’! সূত্র : ডন অনলাইন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।