টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। যমুনা নদীর পানি ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৬ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার এবং ঝিনাই নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড।

তীব্র স্রোতে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। ফলে প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দি এসব এলাকার লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে বেড়েছে দুর্ভোগ।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাহমুদনগর, কাকুয়া, কাতুলী ইউনিয়ন, ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী, গাবসারা, অজূর্না ইউনিয়নের চরাঞ্চল-নিন্মাঞ্চল, কালিহাতী, মির্জাপুর, বাসাইল ও নাগরপুর উপজেলার শতাধিক গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।

এসব গ্রামে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। একরের পর একর জমির আমন ধান পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। অব্যাহত রয়েছে নদী ভাঙনও। নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে ঘরবাড়ি, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা।