Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বগুড়ায় গ্রাহকের অজান্তে দেড় কোটি টাকার আলু বেচে দিল স্টোরেজ মালিক খলিল হাজি

বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০২১, ১০:২০ এএম

বগুড়ায় আফরিন ও ফাতেমা সাইদুর নামে দুটি কোল্ড স্টোরেজের মালিক খলিলুর রহমান ওরফে খলিল হাজি এক গ্রাহকের ৯ হাজার বস্তা আলু গোপনে বিক্রি করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

বাজার মুল্যে ওই পরিমাণ আলুর দাম দেড়কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন প্রতারণার
শিকার আলু ব্যাবসায়ী আলহাজ্ব সোহরাব হোসেন সরকার।
ভুক্তভোগী সোহরাব হোসেন সরকারের বাড়ি ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী গ্রামে। তিনি একজন মওশুমি ব্যবসায়ী। বগুড়ায় আলু রাখার জন্য কোল্ড স্টোরেজের খোঁজ নিতে আসলে তার সাথে পরিচয় হয় খলিলুর রহমান।
খলিলুর রহমান নিজেকে হাজি পরিচয় দিয়ে সখ্যতা স্থাপন করেন তার সাথে।
ফলে প্ররোচিত হয়ে তিনি খলিল হাজির মালিকানাধীন নিউ আফরিন ও ফাতেমা সাইদুর নামের দুটি কোল্ড স্টোরেজে ফেব্রুয়ারী মাসে
২৪ হাজার বস্তা আলু রাখেন।
কোরবানির পর তিনি মজুদ আলুর খোঁজ নিতে
এসে দেখেন তার মজুদের ৯ হাজার বস্তা আলু তাকে না জানিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন খলিল।
বিষয়টি খলিল হাজিকে জানালে তিনি ম্যানেজারের ওপর দোষ চাপিয়ে নানান তাল বাহানা করতে থাকেন।
বাধ্য হয়ে তিনি বিষয়টি শাজাহানপুর থানায় জানান। তবে তিনি তার মজুদ আলু বা আলুর মুল্য পাবেন কি না তানিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
সোহরাব হোসেন সরকার আরো জানান, তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন খলিল হাজি তার
এক সাংবাদিক বন্ধুর ভয় দেখিয়ে তিনি গ্রাহকদের সাথে এধরণের প্রতারণা করেই চলেছেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সোহরাব হোসেন সরকারের অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা
পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অপরদিকে কোল্ড স্টোরেজের মালিক খলিলুর রহমান ওরফে খলিল হাজির সাথে কথা বললে
তিনি জানান, ঘটনাটি অনিচ্ছাকৃত। ম্যানেজারের ভুলে এসব ঘটেছে। গ্রাহকের আলুর টাকা পরিশোধ করে দেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ