বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি ফেনীর মুহুরী নদীতে প্রবেশের ফলে নদীর বাঁধ ভেঙ্গে যায়। গতকাল বুধবার রাত ৮ টার দিকে হঠাৎ ফুলগাজী উপজেলার জয়পুর নামক স্থানে মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ২২ মিটার অংশ ভেঙ্গে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। ফলে ৪ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তলিয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্নের রোপা আমনের ক্ষেত, মৎস্য ঘের ও রাস্তাঘাট।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরের দিকে মুহুরী নদীতে পানি বিপদসীমার ১২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিকেলের দিকে নদীতে পানি বেশি ছিল। রাত ৮টার দিকে নদীর বেড়িবাঁধের একটি স্থানে ভাঙ্গন দেখা দেয়। পরে রাতের মধ্যে পানি কিছুটা নেমে গেলেও এখনও বিপদসীমা কাটেনি। আজও নদীর পানি ১৩ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে তারা জানান। উজানে বৃষ্টি না হলে পানি দ্রুত নেমে যাবে বলে তারা জানান।
এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়,ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের জয়পুর এলাকায় মুহুরী নদীর বাঁধের পূর্বের ভাঙ্গন স্থান মেরামত না হওয়ায় আবার পুনরায় ভেঙ্গে যায়। এলাকাবাসী জানায়, গতমাসের প্রথম দিকে এস্থানে ভাঙন দেখা দেয়। এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদারের মাধ্যমে নদীর ভাঙন স্থান মেরামতের কাজ চলছিল অনেক দিন যাবত। কিন্তু তারা বাঁধের মেরামত কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি। গতকাল তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত বাঁধ মেরামতের কাজ করেছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেনি।
ফুলগাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, ফেনীতে গত কয়েকদিন যাবত কোন বৃষ্টি নেই। কিন্তু আকস্মিক ভাবে মুহুরী নদীতে উজানের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে যায়। ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের কিসমত ঘনিয়ামোড়া,পূর্ব ঘনিয়ামোড়া,পশ্চিম ঘনিয়ামোড়া ও জয়পুরসহ ৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়। ফসলের মাঠজুড়ে মানুষের রোপা আমন পানির নিচে তলিয়ে গেছে, পানিবন্দি রয়েছে অনেক পরিবার। তিনি বলেন, প্রতি বছর বন্যায় এ এলাকার মানুষজন অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু নদীর ভাঙ্গাবাঁধ সংস্কারে সঠিক তদারকি করেনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও তাদের গৃহপালিত ঠিকাদারদের দায়সারা কাজের কারণে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নদীর বাঁধ আবার ভেঙ্গে যায়। এসব অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া দরকার সরকারকে।
তিনি আগামীকাল সকালের দিকে বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করবেন বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম বলেন, মুহুরী নদীর একটি স্থানে ভাঙনের ফলে সদর ইউনিয়নের ৪ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।