মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এবার বড়সড় এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীনা সংস্থা শাওমি। আগামিদিন থেকে জনপ্রিয় ‘এমআই’ ব্র্যান্ডকে বাদ দিতে চলেছে তারা। অর্থাৎ এই নামে বাজারে আর কোনও স্মার্টফোন লঞ্চ করবে না শাওমি। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে এমনই তথ্য জানানো হয়েছে। আর তা জানার পরই রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। এমআই-এর পরিবর্তে কোম্পানির ফোনগুলিতে এবার থেকে শাওমি নামই ব্যবহৃত হবে বলে খবর।
বিগত ১০ বছর ধরে এমআই ব্র্যান্ডিংয়ের অধীনে একগুচ্ছ স্মার্টফোন লঞ্চ করেছে শাওমি। তাদের মধ্যে অনেক ফোনই বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এক্সডিএ ডেভেলপারসে প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে কোম্পানির সব স্মার্টফোন শাওমি ব্র্যান্ডের অধীনে লঞ্চ হবে। যদিও, কোম্পানির লেটেস্ট সিরিজে এখনও এমআই ব্র্যান্ডিং ব্যবহার করেছে বেইজিংয়ের কোম্পানিটি। এমআই প্যাড ৫ ও এমআই প্যাড ৫ প্রো ট্যাবলেটগুলি সম্প্রতি লঞ্চ হয়েছে। তবে, ইতিমধ্যেই কোম্পানির স্মার্টফোন থেকে এমআই-এর ব্র্যান্ডিং সরতে দেখা গিয়েছে।
এমআই এক্স ৪-এর পরিবর্তে লঞ্চ হয়েছে শাওমি এক্স ৪। আনুষ্ঠানিকভাবে এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করা না হলেও, ধারনা করা হচ্ছে, শাওমি মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রেও নিজেদের নামকেই জনপ্রিয় করে তুলতে চাই। আর তাই এই পদক্ষেপ। আপাতত শুধুমাত্র চীনে লঞ্চ হয়েছে শাওমি এক্স ৪। বাংলাদেশেও কোম্পানির স্মার্টফোন থেকে এমআই ব্র্যান্ডিং বন্ধ হবে কি না, তা নিয়েও কিছু জানা যায়নি। বাংলাদেশে স্মার্টফোন ছাড়াও এমআই ব্র্যান্ডের অধীনে বিক্রি হয় কোম্পানির ফিটনেস প্রডাক্ট, স্মার্ট টিভি ও অন্যান্য আরও ডিভাইস।
এর আগে ২০১১ সালে এমআই ব্র্যান্ডের অধীনে কোম্পানি তাদের প্রথম ফোনটি বাজারে এনেছিল। সেই ফোনের নাম ছিল শাওমি এমআই ১। ২০১১ সালের আগস্টে এই ফোন বাজারে এসেছিল। এর পরে ২০১৪ সালে ভারতে লঞ্চ হয়েছিল এমআই ব্র্যান্ডের প্রথম স্মার্টফোন এমআই ৩। লঞ্চের পরেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিল এই স্মার্টফোন। কয়েকদিনের মধ্যেই গ্রাহকদের মনও জিতেছিল এই ফোন। এরপর আরও একাধিক ফোন বাজারে এনেছে শাওমি। স্মার্টফোন ছাড়াও এমআই ব্র্যান্ডের অধীনে বিক্রি হয় কোম্পানির ট্যাবলেটও। কিন্তু সেই ব্র্যান্ডই আর ব্যবহার করবে না শাওমি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।