Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে ‘অন্যায়ভাবে’ প্রাচীন মসজিদ ভাঙায় পাকিস্তানের নিন্দা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০২১, ১২:১৮ পিএম

পাকিস্তান মঙ্গলবার ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে একটি প্রাচীন মসজিদ ‘অন্যায়ভাবে ধ্বংস’ করার নিন্দা জানিয়েছে। তারা একে ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের মানবাধিকারের উপর আরেকটি আক্রমণ বলে অভিহিত করেছে।

মঙ্গলবার ভারতীয় কর্তৃপক্ষ হরিয়ানার ফরিদাবাদে বড় বিলাল মসজিদ গুড়িয়ে দিয়েছে, যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দ্বারা শাসিত। এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর (এফও) নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয়।

বিবৃতিতে এফও মুখপাত্র অসীম ইফতিখার আহমদ বলেন, ‘বিজেপি-শাসিত হরিয়ানায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বিজেপি-আরএসএস নিয়ন্ত্রিত বিচার বিভাগের সাথে যোগসাজশে প্রাচীন বিলাল মসজিদ অন্যায়ভাবে ধ্বংস করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তান।’ বিবৃতিতে ‘মুসলমানদের এবং তাদের মসজিদলোকে হিন্দুত্ববাদ-চালিত বিজেপি-আরএসএস জোটের চিরস্থায়ী টার্গেট’ বলে ‘তথাকথিত 'বৃহত্তম গণতন্ত্রের পরিপন্থী’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।

এটি মনে করিয়ে দেয় যে, ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট নভেম্বর ২০১৯ সালে একটি বিতর্কিত রায়ে ‘চরমপন্থী হিন্দু দলগুলোকে’ ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের স্থানে রামমন্দির নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিল, যা ১৯৯২ সালে হিন্দু উগ্রপন্থীরা ভেঙে ফেলেছিল। এই কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘প্রকাশ্যে বাবরি মসজিদ ধ্বংসকারী বলে প্রমাণিত ও চিহ্নিত অপরাধীদের খালাস দেয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয় বিচার বিভাগও দোষী ছিল।’

এফও আরও বলেছে যে, ২০০২ সালে গুজরাটে এবং ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে মুসলিম বিরোধী জঙ্গিবাদের সময় মুসলিমদের এবং তাদের মসজিদগুলোর উপরে ‘রাষ্ট্রীয় সহযোগিতায়’ আক্রমণ করা হয়েছিল, কোনও বিচারিক জবাবদিহিতা ছাড়াই। ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে এবং ভারতে মুসলমান, তাদের ধর্মীয় স্থান ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ‘নিরবচ্ছিন্নভাবে’ লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে বলে এতে যোগ করা হয়েছে।

এফও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, জাতিসংঘ, ওআইসি এবং প্রাসঙ্গিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে ‘সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে মুসলমানদের উপরে পদ্ধতিগত ও নিষ্ঠুরভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ভারতকে জবাবদিহি করাতে’ আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে, ‘আমরা ভারতের প্রতিটি সংখ্যালঘুর সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই, যার মধ্যে মুসলিম এবং তাদের উপাসনালয় ও সাংস্কৃতিক স্থানও রয়েছে।’ সূত্র : ডন।



 

Show all comments
  • Rownakul ২৫ আগস্ট, ২০২১, ১:০৫ পিএম says : 0
    ভারতের মোদি সরকার এখন যে কাজ করছে সেটা কি ঠিক হচ্ছে,,? সারা পৃথিবীতে যত মানুষ আছে তারা যে ধর্মে বিশ্বাসী হোক না কেনো হিন্দু ধর্ম যে উগ্র তা আচ করতে পারছে। আর মানুষের ধর্যের একটা সিমা আছে। আল্লাই জানেন দুনিয়ার মানুষ ধর্য ধারন করতে পারে। এমনটা যেন না হয় যে মন্দির শুধু ভারতেই আছে পৃথিবীর ওন্য কোনো দেশে আর আস্থ দাড়িয়ে নেই। মোদি সরকারের উগ্র আচরণে সারা পৃথিবীতে অবস্থানরত সকল হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের সুরক্ষা অনিশ্চিত হলো।
    Total Reply(0) Reply
  • মো:+শফিউর+রহমান ২৫ আগস্ট, ২০২১, ১:৪৭ পিএম says : 0
    শুধু পাকিস্তান নিন্দা করলে হবেনা । এর জন্য জোর প্রতিবাদ এমনকি প্রয়োজনে হিন্দু কতৃত্ববাদি মুদি সরকারকে সমস্ত মুসলিম দেশ বয়কোট করতে হবে । এভাবে একের পর এক মসজিদ ধ্বংশ করবে আর মুসলমানেরা প্রতিবাদ করেই যাবে এটা হলে হবেনা কঠিন কিছু পদক্ণে নিতে হবে । মহান আল্লাহ ওদের বিচার করার জন্য ফরিয়াদ জানাইতেছি ।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Motiur Rahaman ২৫ আগস্ট, ২০২১, ২:৪০ পিএম says : 0
    শুধু নিয়ে নিন্দা জানালে হবে এখানে তিব্র প্রতিবাদ করতে হবে এর উওম জবাব দিতে পারে শুধু তালেবান।
    Total Reply(0) Reply
  • iqbal ২৫ আগস্ট, ২০২১, ৩:০৭ পিএম says : 0
    Hindu mohajot kothai?Akhon gumaitese.Somoy hoile saper moto phona debe.
    Total Reply(0) Reply
  • Hafiz Uddin ২৬ আগস্ট, ২০২১, ৮:০৪ এএম says : 0
    বাংলাদেশ থেকেও বিবৃতি দেয়া দরকার। এবং ভারতকে শিক্ষা দেয়া দরকার আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে একত্রিত হয়ে ।ভারত ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ