Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সহস্রাধিক কৃষকের ভাগ্যোন্নয়ন

মহামায়া সেচ প্রকল্প

ইমাম হোসেন, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২১, ১২:০৩ এএম

আবাদের আওতায় ৫শ’ হেক্টর জমি গড়ে উঠেছে পরিকল্পিত পর্যটন কেন্দ্র 
পানিবদ্ধতা ও পাহাড়ি ঢল থেকে নিরসন এবং শুষ্ক মৌসুমে কৃষিখাতে সেচ সুবিধার লক্ষ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড মহামায়া সেচ প্রকল্পের অংশ হিসেবে ১৯৯৯ সালে মহামায়া খালের উপর সøুইস গেইট নির্মাণ করে। পরবর্তীতে পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নে ২৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। প্রায় ১১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই প্রকল্পটি রুপ নেয় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম লেকে।

২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহামায়া সেচ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং মৎস্য বিভাগ পর্যাক্রমে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহামায়া লেকে ৩০ টন মাছের পোনা অবমুক্ত করে। মহামায়া সেচ প্রকল্প নির্মানের পর মীরসরাই উপজেলার দুর্গাপুর, কাটাছরা, ইছাখালী, ওচমানপুর, মিঠানালা ও মীরসরাই সদর ইউনিয়নের প্রায় ৫শত হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হচ্ছে। আবাদ হচ্ছে ২৫০ হেক্টর জমিতে রবি-সবজি ও গ্রীষ্মকালীন সবজি। ভাগ্য ফিরেছে সহস্রাধিক কৃষকের।

জানা গেছে, মহামায়া লেকের পানি দিয়ে দুর্গাপুর, কাটাছরা, ইছাখালী, ওচমানপুর, মিঠানালা ও মীরসরাই সদর ইউনিয়নের প্রায় ৫শত হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হচ্ছে। এছাড়া রবি-সবজি আবাদ হয় প্রায় ২৫০ হেক্টর। একটা সময় যারা পানি সঙ্কটে চাষাবাদ করতো না তারাও এখন চাষাবাদে মনোনিবেশ করেছে।

জানা গেছে, মহামায়া হ্রদে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি আটকিয়ে রেখে সেই পানি দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদ করা হয়ে থাকে। এক সময় বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে উপজেলার দূর্গাপুর, মিঠানালা, ইছাখালী ওসমানপুরসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন পানিতে নিমজ্জিত হতো। এতে ফসল ও বাড়ি ঘরের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হতো। কিন্তু মহামায়া সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে পাহাড়ি ঢল থেকে রক্ষার পাশাপাশি শুষ্ক মৌসুমে আবাদের আওতায় এসেছে ৭৫০ হেক্টর জমি। এছাড়া পর্যটনের জন্য প্রত্যেক বছর অর্ধকোটি টাকা প্রকল্পটি ইজারা দিয়ে রাজস্ব আদায় করে সরকার।

দুর্গাপুর ইউনিয়নের কৃষক জামাল উদ্দিন বলেন, এক সময় পাহাড়ি ঢলে এই ইউনিয়নের ফসলের আবাদ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হতো। কিন্তু মহামায়া সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে এই এলাকার কয়েক শত কৃষক সেই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। এছাড়া আমরা শুষ্ক মৌসুমেও মহামায়া সেচ প্রকল্পের পানি দিয়ে চাষাবাদ করতে পারছি।
উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কাজী নুরুল আলম বলেন, মহামায়া সেচ প্রকল্পের কারণে যেসব এলাকায় বোরো আবাদ হতো না সেসব এলাকায় বোরোসহ শুষ্ক মৌসুমে বিভিন্ন শাক-সবজি আবাদ হচ্ছে। উপজেলার প্রায় ৬টি ইউনিয়নের সহস্রাধিক কৃষক এতে উপকৃত হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ