Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষায় শুধুই কথামালা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ১৭ মাস জ্বরাজীর্ণ ক্লাসরুম-জঙ্গলে পরিণত হয়েছে মাঠ কাজ না করেই বেতন-ভাতা পাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা অনেক ছাত্রী বাল্য বিয়ের শিকার, কেউ কেউ লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়ে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২১, ১২:০৩ এএম

শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। অথচ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘ ১৭ মাস সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সেই ‘মেরুদন্ড’ ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও স্কুল বন্ধ থাকায় এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া গরীব মেধাবী হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী ইতোমধ্যেই ঝড়ে পড়েছে। গ্রামের স্কুল-মাদরাসা পড়ুয়া অনেক ছাত্রীর বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। অস্বচ্ছল পরিবারের অনেক ছাত্র লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়ে নানান কাজে যোগ দিয়ে বাবা-মাকে আর্থিক সহায়তা করছেন। অন্যদিকে লাখ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী ঘরে বসে থেকেই বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে ছাত্রছাত্রীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা প্রদান করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে। অথচ পর্যাপ্ত টিকার সংস্থান করতে না পারায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো বন্ধ রাখা হয়েছে। আবার দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিল্ডিংয়ের গায়ে শ্যাওলা ধরেছে, মাঠে আগাছা-ঘাস গঁজিয়েছে। সরকারের দায়িত্বশীলরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে কথামালার প্রতিযোগিতায় চালিয়ে যাচ্ছেন। অথচ বিনোদন কেন্দ্র, মার্কেট, গণপরিবহন সবকিছু খুলে দেয়া হয়েছে। গতকালও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিগগিরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন, মন্ত্রণালয় প্রস্তুত, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে।

জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং বিদ্যালয় খোলার সার্বিক প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে আঞ্চলিক পরিচালকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে- সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে হবে।

১৭ মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতোদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সুষ্পষ্টভাবে কিছু না বললেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দেয়ার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এক সাপ্তাহ আগে এক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দ্রুতই স্কুলগুলোও খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করুন। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি আছে। শুধু সংক্রমণের হার আরেকটু নিচে নামার অপেক্ষা।

আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন, স্কুল খোলার সব প্রস্তুতি আমাদের আছে। এ মুহূর্তে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিলে আগামীকালই আমরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলতে পারি।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো বলছে, তারা প্রস্তুত। কিন্তু মাঠপর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, প্রস্তুতি কাগজে আর মুখে মুখে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে চলছে কথামালা। মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকা প্রদান করা হবে, ১৮ বছরের বেশি সময় শিক্ষার্থীদেরও টিকা নিশ্চিত করা হবে। তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে ৮৫ শতাংশ শিক্ষক। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঠিক পরিসংখ্যান বলতে পারেনি মন্ত্রণালয়। আর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২ লাখ ৭৮ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। তবে টিকার দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন হয়নি বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর। ১৮ উর্ধ্বো অনেক শিক্ষার্থীই রয়েছেন এর বাইরে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি কিভাবে নিশ্চিত হবে? যেসব প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে অযতœ-অবহেলায় পড়ে আছে সেগুলো সংস্কার, কিংবা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার ক্ষেত্রেও নেই কোন নির্দেশনা। গত মার্চে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত এমন কোন নির্দেশনা পায়নি প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু তার আগেই প্রস্তুতির কথা জোড় দিয়ে বলছেন দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী।

দ্বায়িত্বশীল ব্যক্তিরা প্রস্তুতির কথামালা ছড়ালেও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর অবস্থা জ্বরাজীর্ণ। এসব প্রতিষ্ঠানের কোন কোনটিতে গত ১৭ মাসে একবারও ক্লাসরুমে ঝাড়– পড়েছে কিনা, কিংবা মাঠে কাচি চালিয়েছে কিনা তা বোঝা দায়। ক্লাসরুমের চেয়ার-টেবিলগুলোতে জমেছে ধূলার আস্তরণ, কোন কোন স্কুলের ফ্লোরে জন্মেছে ঘাস-গাছও। আর স্কুল মাঠ দেখলে বোঝার উপায় নেই জঙ্গল নাকি শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন স্কুল, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বেশ কয়েকটি স্কুলে সরেজমিনে গিয়ে এবং কয়েকটির খোঁজ নিয়ে এমন চিত্রই পাওয়া যায়।

রাজধানীর আজিমপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য যেসব সরঞ্জাম বসানো হয়েছে তার চারপাশে বড় বড় ঘাস, সরঞ্জামগুলোতে জড়িয়ে আছে লতা-পাতা। দীর্ঘদিন ধরে পরিচ্ছন্ন না করার কারণে এমন অবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্কুলটিতে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা।

রাজধানীর শাহজাহানপুর সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে দীর্ঘদিন ধরে ঘাস না কাটার কারণে জঙ্গলে রূপ নেয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে। মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার উত্তর শেখরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ও ক্লাসরুম দেখলে বোঝার উপায় নেই এগুলো গত ১৭ মাসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে কিনা? জানতে চাইলে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্র রায় অবশ্য বলেন, আমরা নিয়মিত পরিষ্কার করছি। কিছু জায়গায় ঘাস রয়েছে। তবে খোলার নির্দেশনা দিলে আমরা প্রস্তুত আছি।

শুধু এ তিনটি স্কুলই নয়, রাজধানীসহ সারাদেশের বেশ কয়েকটি স্কুলে খোঁজ নিয়ে এমন চিত্রই পেয়েছে ইনকিলাব। এর বেশকিছু ছবিও অনলাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
অথচ করোনার শুরু থেকে যখন বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যয় সঙ্কোচনের জন্য কর্মী ছাটাই করেছেন, বিপরীতে সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘরে বসেই নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে প্রধান শিক্ষক প্রতিটি স্কুলের রক্ষণা-বেক্ষণের দায়িত্বে থাকেন। প্রায় প্রতিটি স্কুলেই পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছে ২ থেকে ৩ জন। প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে নিয়মিত ক্লাসরুমসহ স্কুলের সার্বিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম করার কথা তাদের। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে এটি অনুসরণ করা হলেও বেশিরভাগই ব্যতিক্রম।

চীনের উহানে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছে গত বছরের সেপ্টেম্বরে। জানা যায়, সেখানকার শিক্ষার্থীদের স্কুলে ঢোকানোর আগে তাদের ভ্রমণের ইতিহাস সংগ্রহ করা হয়। স্কুল শুরুর পর দিনে তিনবার তাপমাত্রা মাপাসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়। স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না, তা দেখতে স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কমিউনিস্ট পার্টির কর্মীদের কাজে লাগানো হয়েছে। এসবের কোনো খবরই নেই বাংলাদেশে। বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্যবিদেরা মনে করেন, সব স্কুল-কলেজের জন্য এক ধরনের নির্দেশনা কার্যকর হবে না। স্কুলের অবস্থান, স্থাপনা, ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ও বয়সভেদে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এমনও হতে পারে, স্কুলে জানালা আছে, কিন্তু তা খোলা যায় না। জানালাটা খোলার ব্যবস্থা করতে হবে। বৃষ্টির ছাট আটকাতে কার্নিশ দরকার হবে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীভেদে শৌচাগারের সংখ্যা কম। পর্যাপ্ত শৌচাগার থাকা জরুরি। মাস্ক, সাবান, থার্মোমিটারের মজুত নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে ব্যাপক ভিত্তিতে প্রচার চালাতে হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারপারসন সায়েদুর রহমান খসরু বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলো-বাতাসের চলাচল নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুতি কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার, হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও পরিষ্কার শৌচাগার থাকা বাধ্যতামূলক। এগুলোর পর্যাপ্ত মজুত এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার ব্যবহার নিশ্চিত করে তবেই বাকি কাজগুলো করতে হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খোলার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। স্কুলগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। আমাদের শিক্ষকরা স্কুলে যাচ্ছেন। আমরা অনলাইন ও অফলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছি। স্কুল বন্ধ থাকলেও আমাদের শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে।

জাকির হোসেন বলেন, স্কুল খোলার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা লাগবে। এখন যে পরিস্থিতি হুট করে স্কুল খোলা যায় না। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্ট সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেবেন। স্কুল খোলার বিষয়ে আমাদের সব প্রস্তুতি আছে। প্রধানমন্ত্রী যদি আজকে নির্দেশনা দেন আমরা আগামীকাল থেকেই স্কুল খুলতে প্রস্তুত আছি।

দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় গ্রামাঞ্চলের মেয়েরা বেশি ঝরে পড়বে। কারণ তাদের অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা আছে। অনেক ছেলে-মেয়ে হয়ত স্কুলে না এসে অন্য কাজ-কর্মে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শিক্ষকদের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া আছে যে, যারা স্কুলে আসবে না তাদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়া এবং অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের স্কুলে ফিরিয়ে আনার।

এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দ্রুততম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গত শনিবার রায়সাহেব বাজারে অনশন কর্মসূচি পালন করেন। এছাড়া বিচ্ছিন্নভাবে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছেন। #



 

Show all comments
  • নিশাত সরকার নওমি ২৫ আগস্ট, ২০২১, ১২:৩৭ এএম says : 0
    আমরা তো দুনিয়ায় সেরা শিক্ষাব্যবস্থার দেশ, কয়েক দশক বন্ধ থাকলেও তো কোন সমস্যা দেখছি না
    Total Reply(0) Reply
  • M Saleh Ahmed ২৫ আগস্ট, ২০২১, ১২:৩৮ এএম says : 0
    অযোগ্য ব্যাক্তিদের হাতে ক্ষমতা গেলে এইরকম অবস্থা হয়। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষাক্ষেত্রে একেবারেই ব্যর্থ, অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে মুক্ত করেন।
    Total Reply(0) Reply
  • G Mostafa Mashuk ২৫ আগস্ট, ২০২১, ১২:৩৮ এএম says : 0
    পড়ালেখা না করলেও বাংলাদেশের সবাই শিক্ষিত, জ্ঞানী, অভিজ্ঞ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজীবন বন্ধ থাকলেও ক্ষতি নাই
    Total Reply(0) Reply
  • Halim Sarkar ২৫ আগস্ট, ২০২১, ১২:৩৯ এএম says : 0
    উনারা দেশে অসভ্য তৈয়ারের কারখানা বানাচ্ছে l এত শিক্ষার কি প্ৰয়োজন ?মুদি ঠাকুর যা চাচ্ছে তাই তো হচ্ছে l দেশের শিক্ষা ও হুজুরদের ধ্বংস করতে পারলেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার গিয়ান বুদ্ধি আর থাকবে না ,এই মিশনে তারা মমাতুয়ারা l
    Total Reply(0) Reply
  • আরিফ আহমেদ ২৫ আগস্ট, ২০২১, ১২:৩৯ এএম says : 0
    বাইচা থাকলে বহুত শিক্ষা নিতে পারবে আগে বাচো পরে শিক্ষা তাই সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি প্রয়োজনে আরো ২০/২৫ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখুন!! ইয়োরোপে রেস্টুরেন্টে বার মার্কেট সিনেমা হল সব বন্ধ ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খালো ছিল যতো করোনা বাংলাদেশে!!
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Bhuiyan ২৫ আগস্ট, ২০২১, ১২:৩৯ এএম says : 0
    In Bangladesh Covid-19 effected less then others country's but in here school and College longer time shutdown just because of politics.
    Total Reply(0) Reply
  • Minhaz Ahmmed ২৫ আগস্ট, ২০২১, ১২:৪০ এএম says : 0
    শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কি দরকার আছে? বাংলাদেশে ১০০ শতাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় পাশ করে,
    Total Reply(0) Reply
  • Tusher Ahmed ২৫ আগস্ট, ২০২১, ১২:৪০ এএম says : 0
    পড়াশোনা থেকে বড় হলো আগে নিজের জীবন সুতরাং করোনা স্বাভাবিক হলেই আমরা শিক্ষা প্রতিষঠানে যেতে চাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Khan Babul ২৫ আগস্ট, ২০২১, ১২:৪০ এএম says : 0
    ইউরোপ আমেরিকা হাজার হাজার লোক মারা গেছে করোনায়, কিন্তুু স্কুল কলেজ সব খোলা। জানিনা আমাদের দেশে এটা কোন ধরনের করোনা, শুধু শুধু শিক্ষা প্রতিষঠানে
    Total Reply(0) Reply
  • Abul Khayar ২৫ আগস্ট, ২০২১, ১২:৪০ এএম says : 0
    সরকার কমতা হারানোর ভয়ে শিক্ষা প্রতিস্টান খোলতেছে না,এদিকে ছেলে মেয়েরা মোবাইল ফোন নিয়ে গেইম খেলতে ব্যবস্থ, লেখা পড়া করতে অমনোযোগী, তাই তাড়াতাড়ি স্কুল কলেজ মাদারাসা খোলার জন্য অনুরোধ রহিলো,
    Total Reply(0) Reply
  • Md Monir Bhuiyan ২৫ আগস্ট, ২০২১, ৭:৫০ এএম says : 0
    ছিঃছিঃ লজ্জা! আজ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কোন উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারলেন না। শিক্ষার্থীরা বাজার ঘাটে, পার্কে, খেলার মাঠে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করেই ঘুরাঘুরি করছে। এখানে করোনার সংক্রমণ নাই, তাহলে কি শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করোনা! আপনারা এখনও শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে না পারায় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।
    Total Reply(0) Reply
  • আজাহার ২৬ আগস্ট, ২০২১, ৮:০৯ পিএম says : 0
    করোনা ভাইরাস শেষ হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা উচিত
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

২২ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ