মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ান এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যগুলো ১৯ শতকে এবং ২০ শতকে যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ করেছিল। মার্কিন যুগের অবসান ঘটিয়ে তালেবান কৌশলগত দেশটি দখল করে নেয়ার পর এ অঞ্চলের নতুন ভূ-রাজনৈতিক খেলায় আফগানিস্তানকে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে রেখে চীন এ অঞ্চলে তার আধিপত্য জোরদার করছে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে, তালেবানদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে কাবুলে মার্কিন সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। এদিকে গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, তালেবারদের সরকার গঠনের মডেল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আলোচনায় কিছু পাকিস্তানি কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ইসলামাবাদে পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেছেন, ‘পাকিস্তান আফগানিস্তানে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক সমঝোতা চায়, যা এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে, কিন্তু মূখ্য ভ‚মিকা আফগানদেরই থাকবে।’
চীনের আফগানিস্তানের সাথে পূর্ব সম্পৃক্ততা নেই, তবে, মিত্র হিসেবে পাকিস্তানের সাথে তার একটি শক্তিশালী জোট রয়েছে যা, তালেবানদের জন্য ইতিবাচক হতে পারে। আফগানিস্তানের খনিজ সম্পদ, বিশেষ করে লিথিয়ামের বৃহৎ মজুদ, বৈদ্যুতিক যানবাহনের মূল উপাদান, চীনের জন্য লাভজনক প্রমাণিত হতে পারে। চীন কারাকোরাম পর্বতমালা দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশের জন্য তার সংকীর্ণ স্থলপথের জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তার সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছে। চীন ও পাকিস্তানের বিপরীতে রয়েছে ভারত। কাবুলের পার্লামেন্ট ভবনসহ আফগানিস্তানের ছোট-বড় ৩৪টি প্রদেশের প্রতিটিতে ভারতের উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। ভারত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চীনের সাথে সীমান্ত বিরোধ ও সামরিক সংঘর্ষে জড়িত। দেশটি কাবুলে ক্ষমতাচ্যুত শাসকের মূল সমর্থক ছিল এবং বর্তমানের তালেবান শাসিত আফগানিস্তানে পাকিস্তান এবং চীন উভয়ই প্রধান খেলোয়াড় হয়ে ওঠায় নয়াদিল্লির স্নায়ূচাপ বাড়ছে।
চীন অবশ্য বলেছে যে, তালেবানদের সাথে তাদের সম্পর্কের প্রধান লক্ষ্য হল, চীনের পশ্চিম শিনজিয়াং অঞ্চলকে বেইজিং-বিরোধী পূর্ব তুর্কিস্তান ইসলামী আন্দোলন (ইটিআইএম) থেকে রক্ষা করা, যার সদস্যরা আফগানিস্তানে আশ্রয় নিতে পারে। সিচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশীয় গবেষণার অধ্যাপক ঝ্যাং লি বলেন, ‘পাকিস্তান ভারতের বিপক্ষে আফগানিস্তানকে কাজে লাগানোর কথা ভাবতে পারে, তবে তা এটি চীনের ক্ষেত্রে এক নয়।’
নয়াদিল্লির সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের কৌশল অধ্যয়নের অধ্যাপক ব্রহ্মা চেলানি বলেছেন, ‘আফগানিস্তানকে শাসন করার জন্য তালেবানদের যে দুটি জিনিস প্রয়োজন, যা চীন দিতে পারে: কূটনৈতিক স্বীকৃতি এবং অতি প্রযোজনীয় অবকাঠামো এবং অর্থনৈতিক সহায়তা।’ সূত্র: ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।