Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১০ টাকা কেজির চাল যুক্ত হচ্ছে আরও ৫০ হাজার হতদরিদ্র মানুষ

আগামী মাস থেকে শুরু হচ্ছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি হালনাগাদের কাজ শুরু করছে সরকার। হালনাগাদ তালিকা অনুযায়ী, আগামী মাস থেকে তিন মাসের জন্য শুরু হচ্ছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি।
গতকাল মঙ্গলবার খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ কর্মসূচির উপকারভোগীদের সংখ্যা ৫০ লাখ হওয়ার কথা থাকলেও এতোদিন ৫০ হাজারের মতো কম ছিল। এখন এ উপকারভোগীদের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মারা যাওয়া ও স্থানান্তর হওয়া উপকারভোগীদের বিচেনায় নিয়ে তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। হালনাগাদ তালিকা অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বর থেকে তিন মাসের জন্য শুরু হচ্ছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি। খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম ইনকিলাবকে বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অধীনে ৫০ লাখ উপকারভোগী থাকার কথা, কিন্তু এর মধ্যে ৫০ হাজারের মতো কম ছিল। সেটা হিসাব করে খাদ্য অধিদপ্তরকে পূরণ করতে বলা হয়েছে। নতুন করে ৫০ হাজার হতদরিদ্র এ কর্মসূচিতে যুক্ত হবেন। এতে সংখ্যাটা ৫০ লাখ হতদরিদ্র মানুষ উপকারভোগী হবে।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে যে সংখ্যক উপকারভোগী থাকার কথা, সেটার চেয়ে সাড়ে ৪৬ হাজারের মতো কম ছিল। আমরা এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট পেয়েছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে নির্দেশনাও পাঠিয়েছি। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’র আওতায় সারাদেশে হতদরিদ্র পরিবারগুলোকে প্রতি মাসে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। বছরে পাঁচ মাস দেওয়া হয় এ সহায়তা। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে নতুন করে অতিদরিদ্র উপকারভোগী অন্তর্ভুক্ত করে সেপ্টেম্বর থেকেই চাল বিতরণের নির্দেশনা দিয়ে গত ১৯ আগস্ট খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, এর আগে খাদ্য অধিদপ্তরের পাঠানো উপকারভোগীর তালিকা অনুসারে সারাদেশে ৪৯২টি উপজেলার তথ্য যাচাই করে দেখা যায়, ৫০ লাখ উপকারভোগীর তালিকায় প্রায় ৪৬ হাজার ৫০০ অতিদরিদ্র ব্যক্তিকে তালিকাভুক্ত করা যায়নি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে দেশের দারিদ্র্য মানচিত্র ২০১৬ (গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল) প্রকাশিত হয় ২০২০ সালের নভেম্বরে। ওই প্রকাশনা অনুসারে ২২৪টি উপজেলায় যে পরিমাণ উপকারভোগী থাকার দরকার এর চেয়ে কম রয়েছে। উপজেলা অনুযায়ী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে নতুন করে যে সংখ্যক উপকারভোগী অন্তর্ভুক্ত করা যাবে সে তালিকা করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে যথাযথভাবে নীতিমালা অনুসরণ করে আগামী সেপ্টেম্বরে চালু হতে যাওয়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ২২৪টি উপজেলায় ৪৬ হাজার ৬১৫ জন নতুন উপকারভোগীকে অন্তর্ভুক্ত করে খাদ্যশস্য বিতরণের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শেখ মুজিবর রহমান বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে মন্ত্রণালয় আমাদের উপজেলাভিত্তিক সংখ্যাগুলো দিয়েছে। কোন উপজেলা থেকে কতজনকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তা দারিদ্র্য মানচিত্র থেকে তালিকা দিয়েছে।আগামী মাস থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হবে। তা অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চলবে।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পল্লী অঞ্চলের কর্মাভাবকালীন মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই পাঁচ মাস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ শুরুর পর তালিকায় স্বচ্ছল ব্যক্তিদের নাম থাকা, বাইরে বেশি দামে চাল বিক্রি করা, ওজনে কম দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের ডিলারশিপ বাতিল, ডিলারদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও বিভাগীয় মামলা, জরিমানাসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ