Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমতলীতে ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আমতলী (বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা

আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নে সরকার নির্ধারিত মূল্যে চাল বিতরণে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা মূল্যে চাল বিতরণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। এই লক্ষ্য অর্জনে হতদরিদ্রদের মাঝে রেশন কার্ড বিতরণ করেছে। আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নে রেশন কার্ড ও চাল বিতরণে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম চলছে। সরেজমিন তদন্ত করে দেখা গেছে, একই ব্যক্তির নামে একাধিক রেশন কার্ড ইস্যু, একই ঘরে একাধিক কার্ড ইস্যু, ধনি ও চাকরিজীবীদের নামে কার্ড ইস্যু, ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের নামে, ভুয়া ছবি দিয়ে কার্ড ইস্যু এবং অন্য এলাকার বাসিন্দাদের নামে কার্ড ইস্যু করে তাদের নামে চাল বিতরণ করা হয়েছে। ইউপি সচিব, ট্যাগ কর্মকর্তা ও ডিলাররা যোগসাজশে উৎকোচের বিনিময়ে এভাবে রেশন কার্ড বিতরণ করেছে। ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করেন তাদের প্রদত্ত তালিকা অনুযায়ী কার্ড বিতরণ করা হয়নি। এই চাল বিতরণের সময় অনিয়মের সুযোগ গ্রহণ করেছে ডিলার। বিতরিত কার্ডের ত্রুটি বিচ্যুতি ধরে তাদের চাল না দিয়ে এবং মাপে কম দিয়ে এসব চাল আত্মসাৎ করছে তারা। জেলা প্রশাসক ও জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবরে, ১১৮ জন হতদরিদ্র এই অভিযোগ দায়ের করেছে। কার্ডধারী কুলসুম বেগম যার কার্ড নং ১৬০৪, (০১৭০৩৩৩১৩৫৯) এবং বিধবা হতদরিদ্র মরিয়ম কার্ড নং ১৭১৩, (০১৭৩৫৫৯০৩১৮) তারা মোবাইলে জানান, আমরা চাল আনার জন্য কার্ড নিয়ে গেলে ডিলার মালেক গাজী বলেন, তোমাদের কার্ড হয়নি বলে তাড়িয়ে দেয় এবং মেম্বারদের কাছে বললে তাতেও কোন ফল হয়নি। মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুর হোসেন মুন্সি ০১৭১৪-৯০৬৭৫৮ মোবাইলে জানান, কার্ড নং, নাম ও ছবির সাথে কোন মিল নাই। কার্ডের যে নাম তা ভুয়া এবং ছবি আমার ছোট ভাই মাওলানা আফজাল হোসেন বাদল, সে পূর্ব নলুয়াবগী দাখিলি মাদ্রাসার শিক্ষক, কার্ডে ছোট ভাইয়ের ছবি দেখে ডিলার গাজী আঃ মালেকের কাছে চাল চাইলে সে বলে চাল দেয়া যাবে না। এভাবে ভুয়া নাম ও অন্য জনের ছবি দিয়ে বহু কার্ডের তালিকা করেছে। এবং ১৮৫৮ নং কার্ডেও তালিকায় নাম মুসা, পিতা-শাহ আলম কিন্তু কার্ডে নাম একটি ছেলের ছবি একটি মেয়ের যা কার্ড তদন্তে দেখা যাবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অসাধু ডিলাররা ভেস্তে দিচ্ছে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আঃ ছালাম মোল্লা (০১৭১৬১০৫৩১৫) এবং যুব লীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম (০১৭১৯০৬৪৭৪০) মোবাইলে জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হতদরিদ্রদের ১০ টাকায় চাল বিতরনের কার্যক্রমকে এসব অসাধু ডিলার, চেয়ারম্যন, সচিব ও ট্যাগ কর্মকর্তারা মাটির সাথে ম্ল্যালান করে দিচ্ছে। দেশে অনেক দূর্ণীতি দেখেছি কিন্তু সব দূর্ণীতিকে হার মানিয়েছে তালিকা এবং কার্ড ও ছবি দেখলে বুঝতে পারবেন। আমাদের দেশনেত্রী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবী সরেজমিন বিজ্ঞ ন্যয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দ্বারা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মুসফিকুর রহমান মোবাইলে (০১৭৩৩-০৭৩১১৬) জানান, এ ব্যাপারে আমার জানা নেই আমি নুতন জয়েন্ট করেছি। আমার নিকট কেউ এ ব্যাপারে আবেদন করেনি। ডিলারের নামটা বলেন, যাক আমি তদন্ত করে অবশ্যই দ্রুতগতিতে ব্যবস্থা নিব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আমতলীতে ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ