রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা
গোপালগঞ্জে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় হত দরিদ্রদের ১০ কেজির চাল পেলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কমলাখী বিশ্বাস (৬০)। প্রভাব খাটিয়ে হতদরিদ্রদের স্বল্পমূল্যের চালের কার্ড তিনি নিজ নামে হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে হতদরিদ্ররা একটি কার্ড থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এ ঘটনায় রঘুনাথপুর ইউনিয়নের সাধারন মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। কমলাখী বিশ্বাস গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদে ২০০৪ সালে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কমলাখী বিশ্বাস রঘুনাথপুর ইউনিয়নের অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি প্রভাব খাটিয়ে জোর করে হতদরিদ্রদের বঞ্চিত করে নিজ নামে কার্ড নিয়েছেন। ওই কার্ডে ২ বার চাল উত্তোলন করে খেয়েছেন। হতদরিদ্রদের তালিকায় তার নাম থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এ ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণে রঘুনাথপুর ইউনিয়নে নিয়োজিত ডিলার ভূপতি বনিক বলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কমলাখী বিশ্বাস মুক্তিযোদ্ধা। শুনেছি তিনি মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় হতদরিদ্রদের কার্ড নিয়েছেন। তিনি ২ বার চাল উত্তোলন করে প্রতিবেশী হতদরিদ্র একজনকে দান করেছেন। যার কার্ড রয়েছে, তাকেই আমি চাল দিতে বাধ্য। সে কারণে আমি কমলাখী বিশ্বাসকে চাল দিয়েছি। কমলাখী বিশ্বাস কিভাবে তালিকাভুক্ত হলো তা কার্ড প্রদানকারীরা ভালো বলতে পারবেন। রঘুনাথপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সরোজকান্তি বিশ্বাস খোকনের মেয়াদের শেষের দিকে অর্থাৎ ২০১৫ সালে হতদরিদ্রদের ১০ টাকার চাল বিতরণের এ তালিকা প্রণয়ন করা হয়। অভিযুক্ত কমলাখী বিশ্বাস হতদরিদ্রদের ১০ টাকার চাল পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় আমি সহ ৩ মুক্তিযোদ্ধা আমাদের ইউনিয়ন থেকে এ কার্ড পাওয়ার জন্য অনুরোধ করি। পরে আমাদের ৩ জনকেই কার্ড দেয়া হয়। কার্ডের মাধ্যমে আমি ২ বার চাল উত্তোলন করে প্রতিবেশী এক হতদরিদ্রকে দিয়ে দিয়েছে। হত দরিদ্রদের বঞ্চিত করে কার্ড নিজের নামে নেয়ার ব্যাপারে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। কার্ড নেয়ার ব্যাপারে ভুল স্বীকার করে তিনি বলেন, এখন আমার কার্ডটি হতদরিদ্রদের নামে দিয়ে দিলে আমার কোন আপত্তি নেই। কার্ড প্রদানকারী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সরোজ কান্তি বিশ্বাস খোকন বর্তমানে ইন্ডিয়ায় অবস্থান করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন বলেন, এ কার্ড শুধুমাত্র হত দরিদ্ররাই পাবেন। এখানে কোন কোঠা সিস্টেম নেই। তাই সাবেক চেয়ারম্যান বা সচ্ছল ব্যক্তিরা এ কার্ড পাবেন না। আমরা এ জাতীয় কার্ড বাতিল করার জন্য উপজেলা পরিষদের সভায় রেজুলেশন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। দ্রুত এ কার্ড বাতিল করা হচ্ছে। আগামী মাস থেকে সচ্ছল ব্যক্তিরা এ কার্ডে আর চাল পাবেন না। এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।