বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মরহুম হাজী আব্দুস সামাদের ছেলে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি আমির হোসেন আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিলাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুতে বাংলাদের প্রেসিডেন্ট এড: আব্দুল হামিদ গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
হাইকোর্টে জানাজা নামাজের পর ঢাকা থেকে বিচার পতির লাশ সন্ধ্যা ৬টায় নিকলীতে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় শত শত মানুষ প্রবল বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে তাদের প্রিয় মানুষকে শেষ বারের মত একনজর দেখার জন্য নিকলী ঈদগা মাঠে সমবেত হয়। মৃতদেহে লাল সবুজের পতাকা জড়িয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা গার্ড অব অনার প্রদান শেষে বাদ মাগরিব নিকলী ঈদগা মাঠে মরহুমের ২য় জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজার নামাজের পূর্বে বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ ৫ নিকলী–বাজিতপুরের সাংসদ আলহাজ্ব আফজাল হোসেন, বিচারপতির ছেলে মোসাদ্দিক হোসেন, এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মোঃ নুরুজ্জামান, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বাদল, বিচারপতি মাহবুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড: জিল্লুর রহমান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কারার সাইফুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান এএম রুহুল কুদ্দুস ভুঞা জনি, বারের সভাপতি এড: শাহ আজিজ বিএনপি নেতা এড: মানিক মিয়া প্রমুখ।
গার্ড অব অনার প্রদান করেন কিশোরগঞ্জের এসপি মাশরুকুর রহমান বিপিএম (ভার), উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসসাদিক জামান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু বকর সিদ্দিক।
বিচারপতির মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাদ এশা নিজ গ্রাম মির্জাপুর মাদ্রাসা মাঠে মরহুমের তৃতীয় নামাযে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবর স্থানে সমাহিত করা হয়। মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে, ২ কন্যা সন্তান সহ অসংখ্য গুনগাহী রেখে যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।