পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
কিছু ভুল সংশোধনের পরই পুঁজিবাজার চাঙা হয়েছে। লেনদেন দেড়শ কোটি টাকা থেকে তিন হাজার কোটি টাকার উন্নীত হয়েছে। পরিকল্পনা অনুসারে ভালো ভালো কোম্পানি ও বন্ডসহ নতুন নতুন প্রোডাক্ট বাজারে আনতে পারলে এ বছরের মধ্যেই পুঁজিবাজারে দৈনিক লেনদেন পাঁচ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। বাজার সামনে বহুদূর এগিয়ে যাবে। গতকাল এসব প্রত্যাশার কথা জানান পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ। বর্তমান কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন ২০২০ সালের ১৭ মে।
এরপর কমিশনের সদস্য হিসেবে যোগ দেন অধ্যাপক শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ, ড. মিজানুর রহমান এবং আব্দুল হালিম। এই কমিশনের নেতৃত্বের প্রথম লেনদেনের দিন অর্থাৎ ৩১ মে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ছিল চার হাজার ৬০ পয়েন্টে। সেখান থেকে ২২ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দুই হাজার ৭৮২ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ৮৪২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর লেনদেন ১৪৩ কোটি ২৯ লাখ ২৬ হাজার টাকা থেকে ২০-২২ গুণ বেড়ে এখন প্রায় তিন হাজার কোটি টাকায়। লেনদেন ও সূচক বাড়ায় প্রায় দেড় বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন তিন লাখ ১৬ হাজার ১৭৬ কোটি ১৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা থেকে দুই লাখ ৩৮ হাজার ২৬০ কোটি সাত লাখ ৫৮ হাজার টাকা বেড়ে গত রবিবার দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৫৪ হাজার ৪৩৯ কোটি ২৪ লাখ ২৩ হাজার টাকায়। কিছু ভুল সংশোধনের পরই এ অবিস্মরণীয় উত্থান হয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক সামসুদ্দিন বলেন, সামনে ভালো ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে।
বিভিন্ন ধরনের বন্ড চালুসহ অচিরেই নতুন নতুন প্রোডাক্ট আসবে। তাতে বিনিয়োগকারীরা বেশ খুশি হবে। তারা বাজারে বিনিয়োগের জন্য আকৃষ্ট হবে। আমরা পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করতে পারলে চলতি বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারের লেনদেন ৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়াবে। লেনদেন বাড়লে অটোমেটিক সূচক ও বাজার মূলধন বাড়বে। সূচক এখন সাত হাজার ছুঁইছুঁই, এটা আরো অনেক দূর যাবে, যোগ করেন তিনি।
শেখ সামসুদ্দিন বলেন, দেশের অর্থনীতির সত্যিই এখন অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এ অগ্রগতির সঙ্গে তালমিলিয়ে পুঁজিবাজার চলবে। অর্থনীতিতে এখন পুঁজিবাজারের অবদান ২০ শতাংশ রয়েছে। জিডিপিতে শতভাগ অবদান রাখবে পুঁজিবাজার। ফলে পুঁজিবাজারের আকার আরও অনেক বাড়বে।
বিএসইসির এই কমিশনার জানান, ডিএসইতে নতুন কোম্পানির লেনদেন কিংবা এক হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলেই সফটওয়্যারে কারিগরি ক্রুটির কারণে লেনদেন বন্ধ হয়ে যেত। সেই সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। এছাড়া পুঁজিবাজারে যাতে কোনো ধরনের কারসাজি না হয় সে জন্য মনিটরিং করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।