মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তান আশা করে যে তালেবানরা নারী ও মানবাধিকার বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে এবং আফগানদের ভূমি অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেবে না। গত শুক্রবার পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া এই মন্তব্য করেছেন।
শুক্রবার পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি (পিএমএ) কাকুল-এ পতাকা উপস্থাপনা প্যারেডে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাজওয়া। সেখানে দেয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন, পাকিস্তান আফগানিস্তান এবং এই অঞ্চলে শান্তি চায়। প্রতিবেশী দেশে কয়েক দশক ধরে সংঘর্ষের সমাধানের জন্য আফগান নেতৃত্বাধীন প্রক্রিয়াকে সমর্থন করতে তার ‘আন্তরিক প্রচেষ্টা’ দ্বারা তারা এর প্রমাণও দিয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে এবং বারবার বিশ্ব সম্প্রদায়কে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও নিরপেক্ষ আফগান প্রক্রিয়ার পাশাপাশি আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক ভরণ -পোষণে তাদের ভূমিকা পালন করতে বলেছি।’
আফগানিস্তানের অস্থিতিশীলতা এবং তার নিজস্ব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের জন্য একটি ‘বিশাল মূল্য’ প্রদান করা সত্ত্বেও, পাকিস্তান গত চার দশক ধরে তিন মিলিয়নেরও বেশি আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে আসছে। সেনাবাহিনী প্রধান পুনর্ব্যক্ত করেন যে, আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য পাকিস্তান তার ভূমিকা অব্যাহত রাখবে, যা সমগ্র অঞ্চলের জন্য বিশেষ করে আফগানদের জন্য ‘অত্যন্ত প্রয়োজন’। তিনি বলেন, আমরা আশা করি তালেবান বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে দেয়া নারী ও মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে এবং আফগান ভূখণ্ড অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে না।
জেনারেল বাজওয়া কাশ্মীর ইস্যু নিয়েও কথা বলেন। ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের (আইওকে) জনগণ ‘মানব ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ সামরিক দখলের’ অধীনে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাকিস্তানিদের হৃদয় কাশ্মীরে তাদের ভাইদের সাথে স্পন্দিত হয় এবং তারা অধিকৃত উপত্যকার জনগণের সাথে ‘ছিল এবং সবসময়’ থাকবে। তিনি বলেন, ‘কাশ্মীর ইস্যুর ন্যায্য ও শান্তিপূর্ণ সমাধান ছাড়া আঞ্চলিক শান্তি অধরা থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, উপমহাদেশের জনগণ অবশ্যই ভুলে যাবে না যে, সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল ‘একটি স্বাধীন ও সমৃদ্ধ অঞ্চল যেখানে সবাই সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারে’।
জেনারেল বাজওয়া বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়ে ‘সম্পূর্ণরূপে সচেতন’ এবং তাদের মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত। তিনি বলেন, ‘আমরা মূল দক্ষতা এবং প্রযুক্তির উপর মনোযোগ দিয়ে দেশের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করব।’ অনুষ্ঠানে ক্যাডেটদেরকে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, ‘কেবল শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনীই মাতৃভূমির সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে পারে।’ তিনি তাদের প্রশিক্ষণে মনোনিবেশ করার এবং সর্বশেষ প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘পাকিস্তান সেনাবাহিনী তার তরুণ অফিসারদের জন্য গর্বিত যারা মাতৃভূমির স্বাধীনতা রক্ষায় সাহস এবং নিষ্ঠার সাথে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছে।’ সূত্র : ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।