Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে, ভাঙ্গনের মুখে অনেক গ্রাম

নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০২১, ৬:৩৯ পিএম

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় নদীর তীরবর্তী অনেক স্থানে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।

নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে তিস্তা নদীর পানি নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার এবং ৯টায় ৫ সেন্টিমিটার কমে ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে দুপুরের পর থেকে তিস্তার পানি কমতে থাকে। এদিকে পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।

তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই,টেপাখড়িবাড়ী,খগাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানি ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের ১৫টি চরগ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওইসব ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা। ওই সব এলাকায় অনেক স্থানে ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় অনেক পরিবার অন্যত্র সরিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

ঝুনাগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান জানান, তার ইউনিয়নের কেল্লাবাড়ী, ভেন্ডাবাড়ী ও ছাতুনামা এলাকায় নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ওইসব গ্রামের ৭ একর ফসলি জমি ও ১৫টি পরিবারের বসতবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল ইসলাম জানান, চরখড়িবাড়ী গ্রামটি হুমকির মুখে পড়ায় গ্রামের মানুষজন আতংকে রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসফাউদ দৌলা জানান, উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি সকালে বৃদ্ধি পেলেও দুপুরের পর তা কমতে শুরু করে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নীলফারমারী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ