Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদীগর্ভে বিলীন অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি

মাদারীপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০২১, ৩:৪৩ পিএম

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সিডি খাঁন ইউনিয়নের নতুন চরদৌলত খাঁ গ্রামে আড়িয়াল খাঁ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি, মসজীদসহ কয়েক একর ফসলি জমি। নদীর তান্ডবে ভিটামাটি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারন মানুষ।
এছাড়া নতুন করে নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে শতাধিক বাড়িঘর ও ফসলি জমি। এতে করে ভয় ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদীর পাড়ের সাধারন জনগন। তবে অনেকে বাড়িঘর ভেঙ্গে অন্য স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এদিকে নদী ভাঙ্গন রোধে দ্রুত বাঁধ নির্মানের দাবীতে মানববন্ধন-বিক্ষোভ সভা-সমাবেশ করছে ভূক্তভোগী পরিবাররা। অপরদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন কালকিনি উপজেলা প্রশাসণ।
সরেজমিন ও ভূক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে সিডি খাঁন ইউনিয়নের নতুন চরদৌলত খাঁ গ্রাম। এ গ্রামের একেবারে পাশ দিয়ে বয়ে গেছে আড়িয়াল খাঁ নদী। এ গ্রামটি প্রত্যান্তঞ্চল হওয়ায় অবহেলিতভাবে পড়ে আছে। বিগত দিনেও নদী গর্ভে চলে গেছে এ গ্রামের অনেক গাছপালা, বাড়িঘর ও কয়েকশ’ একর ফসলি জমি। নতুন করে কয়েক দিনের মধ্যে মজিবর শরিফ, দেলোয়ার শরিফ, আনোয়ার, রফিক ভান্ডারি, মজিদ বেপারীর মসজিদ, মাসুম বেপারী ও স্বপন শরিফসহ প্রায় অর্ধশত লোকজনের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
আরো জানা যায়, বর্তমানে ভাঙ্গন ঝুকিতে রয়েছে সত্তার মাওলানার মাজার, মনির খাঁন, কামাল খাঁন, নজরুল সিপাহিসহ শতাধিক বসতবাড়ি। এ নদীর তান্ডবে ভিটামাটি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ওই এলাকার সাধারন মানুষ। এতে করে ভয় ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদীর পাড়ের সাধারন মানুষ। এদিকে নদী ভাঙ্গনরোধে দ্রুত বাঁধ নির্মানের দাবীতে মানববন্ধন কছেছে ভূক্তভোগী পরিবার। অপরদিকে খবর পেয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল ও উপ-সহকারি প্রকৌশলী তনু চন্দ্র কর ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন।
এব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ্য রফিক ভান্ডারী ও আলাল শরিফসহ বেশ কয়েকজন বলেন, ‘আড়িয়াল খাঁ নদীতে আমাদের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি ভেঙ্গে গেছে। এখনও অনেক বাড়িঘর ভাঙ্গছে। তাই আমরা এখানে বাঁধ নির্মানের দাবী যানাই।’
এব্যাপারে কালকিনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসানের নির্দেশক্রমে আমিসহ সহকারি প্রকৌশলী তনু চন্দ্র ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তাদের নির্দেশ মতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এব্যাপারে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করা হবে। আর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভাঙ্গন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ