গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির পরিবর্তে সাজা ভোগ করেন নিরপরাধ মিনু। কারামুক্তির পর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি। সেই মিনুর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও সুরতহাল রিপোর্ট তলব করেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া মিনুকে সাজা খাটানো কুলসুমীর মামলার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিসহ যাবতীয় নথিও তলব করেন আদালত। সংশ্লিষ্ট দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আগামী ১ সেপ্টেম্বর এসব নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
গতকাল বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম এবং বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সরকারপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী। এর আগ মিনুর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার ঘটনাটি হাইকোর্টের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুন রাতে বায়েজিদ বোস্তামি সংযোগ সড়ক থেকে দুর্ঘটনায় নিহত এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব না হওয়ায় অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে লাশ দাফন করে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম। পরে বায়েজিদ থানার একটি টিম সীতাকুন্ড এলাকার লোকজনকে ছবি দেখিয়ে মিনুর পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়।
এর আগে কারাগারের একটি বালাম বই দেখতে গিয়ে নিরপরাধ মিনুর সাজা খাটার বিষয়টি উঠে আসে। চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে এ মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। গতবছর ১৬ জুন হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীর পরিবর্তে তিন বছরেরও বেশি কারাভোগ শেষে হাইকোর্টের নির্দেশে মিনু কারা মুক্ত হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।