Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সৈয়দপুরে চলন্ত ট্রেনে ছোঁড়া পাথরের আঘাতে শিশুর চোখ নষ্ট

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০২১, ৬:৫৬ পিএম

করোনায় দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা ট্রেন চালুর পর চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুড়ে মারায় আজমির ইসলাম (৫) নামে এক শিশু রক্তাক্ত হয়েছেন। রোববার (১৫আগস্ট) রাত সাড়ে ৭টায় নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলস্টেশনের হোম সিগনালের কাছে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি বর্তমানে রাজধানীর ইসলামিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার ডান চোখ নষ্ট হয়ে গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

আজমির ডোমার উপজেলার আমবাড়ি গ্রামের মাছের হ্যাচারী ব্যবসায়ী মারুফ ইসলামের ছোট ছেলে। তিনি সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য পরিবার নিয়ে সৈয়দপুর শহরের পুরাতন মুন্সীপাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ঘটনার দিন গ্রামের বাড়ি থেকে খুলনাগামী আন্তঃনগর ট্রেন সীমান্ত এক্সপ্রেসে সৈয়দপুরে আসছিলেন।

আজমিরের বাবা মারুফ ইসলাম জানান, নীলফামারী স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি সন্ধ্যায় সৈয়দপুর স্টেশনে প্রবেশের সময় হোম সিগনালের কাছে এ ঘটনা ঘটে। জানালার পাশে বসা আজমিরে ডান চোখে ছোঁড়া পাথরটি আঘাত করে। তার চোখ ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। এ অবস্থায় সৈয়দপুর স্টেশনে নেমে রেলওয়ে পুলিশের এএসআই প্রভাষ কুমারের সহায়তায় দ্রুত সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাই।

হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্মকর্তা ডা: মো. রবিউল ইসলাম দ্রুত শিশুটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ওই হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা: রাশেদুল ইসলাম মাওলার শরণাপন্ন হলে তিনি উন্নতি চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠিয়ে দেন। বর্তমানে তিনি শিশু আজমিরকে রাজধানীর ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের ১২৬ নং কেবিনে রেখে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ওই হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা: কামরুল হাসান সোহেলের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।

তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, আজমিরের আঘাত প্রাপ্ত ডান চোখটি ৮০ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তিনি রেলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার বিচার দাবি করেছেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সৈয়দপুর পৌর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, এভাবে ট্রেনে পাথর ছুঁড়লে রেলওয়ে যাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে। ফলে রেল যাত্রায় নিরুৎসাহিত হবে যাত্রীরা। তিনি বলেন, এ ঘটনার জন্য রেলওয়ে পুলিশ সম্পূর্ণরূপে দায়ী। স্টেশন এলাকার মধ্যে এ ঘটনা প্রমাণ করে রেল পুলিশের টহলদারি নেই। তাছাড়া রেললাইনের দুই পাশে অবৈধ দোকানপাট ও বসবাসকারীদের উচ্ছেদে রেলের কোন উদ্যোগ না থাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে। তিনি ঘটনাস্থল সনাক্ত করে দোষী ব্যাক্তিকে খুঁজে বের করার আইনের আওতায় আনার জোর দাবি করেন।

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় স্টেশন মাস্টার (গ্রেড-৪) ময়নুল হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করছে। ঘটনার সাথে জড়িত ব্যাক্তিকে খুঁজে বের করতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। পুলিশের মাধ্যমে এ ঘটনা তদন্তের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর হবে বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নীলফারমারী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ