Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাপাসিয়ায় মাদরাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষনের অভিযোগ

কাপাসিয়া (গাজীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০২১, ৮:১২ এএম

গাজীপুরের কাপাসিয়ার টোক ইউনিয়নের নয়াসাংঙ্গুন এলাকায় গভীর রাতে ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাতে একই ইউনিয়নের ঘোষেরকান্দি গ্রামের রফিকুলের পানবরের পাশে এ গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে জানায় পরিবার। ধর্ষণের অভিযোগে কাপাসিয়া থানায় ৯(১) ধারায় মামলা হয়েছে।

সরজমিনে জানা যায়, ওই ছাত্রী (১৩) স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাবা কৃষক, ‘মা’ দশ বছর ধরে প্রবাসে থাকেন (জর্ডানে)। সে তার দাদির সাথেই থাকতেন শিশু কাল (দুই বছর বয়স ) থেকে।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, গত শুক্রবার রাত ১২ টার দিকে কে বা কাহারা তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণ করে এবং ভোরে বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু পরিবার বলছেন শুক্রবার রাত আনুমানিক রাত ১টার দিকে মেয়েকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং রাত চারটার দিকে মেয়ে নিজেই বাড়ি ফিরে আসে।

প্রতিবেশী কাদির মাষ্টারের ছেলে মোক্তার লোক ভাড়া করে এ কান্ড ঘটাতে পারে বলে মেয়ের বাবা ও এলাকাবাসীর ধারণা। শুক্রবার দিনের বেলায় মেয়ের চাচা আসাদুলের সাথে ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়েছে মোক্তারের। এর আগেও একাধিকবার মোক্তার তাদের সাথে বিরোধে জড়িয়েছেন বলে জানায় পরিবার।
এদিকে সন্দেহযুক্ত মোক্তার ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। মোক্তারের বাড়িতে না পেয়ে মোটোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

দাদি জহুরা জানায়, আমি আমার নাতনিকে নিয়ে টিনের ঘরে থাকি। শুক্রবার রাতে দুইজন এক সাথে ঘুমাইয়া ছিলাম। এইদিন রাত আনুমানিক ১টার দিকে টিনের বেড়া কেটে দরজা খোলে তিন জন লোক ঘরে আইয়া আমার গলায়, মাথার উপড়ে ছুড়ি ধরছে। কইছে চিৎকার চেঁচামেচি করলে মেরে ফেলবে। পরে কইছে আমার নাকের , কানের ও গলার গয়না (অলংকার) খুইল্লা দিতাম। আমার পড়নের কাপড় দিয়া হাত-পাঁ বানছে। পরে আমার নাতনিরে হাত, মুখ ও পা বাইন্দা নিয়া গেছে। আশপাশে লোকজন সহ অনেক খোঁজাখুঁজির পর দেখি মেয়ে আজানের আধঘণ্টা আগে বাড়ি আসছে। তখন রাত আনুমানিক চারটা বাজে।

মেয়ের বাবা বলেন, তাকে নাকি ধর্ষণ করেছে এবং সে কাউকেই চিনতে পারেনি। তবে যারা ধর্ষণ করেছে তার পড়নে শার্ট ও লঙ্গী পড়া ছিলো। তবে আমার সন্দেহ প্রতিবেশী কাদির মাস্টারের ছেলে মোক্তার এই কাজটি অজ্ঞাত লোক দিয়ে করিয়েছে। সে ছাড়া আমার কোন শত্রু নেই। তাকে ছাড়া কেউ করবে না এমন কাজ।

১৫ আগস্ট রবিবার অজ্ঞাত তিনজনকে অভিযুক্ত করে কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা।

এবিষয়ে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আলম চাঁদ বলেন, এঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাদ্রাসা ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে বের করতে পুলিশের একাধিক দল ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন।



 

Show all comments
  • Md. Monirul Islam ১৬ আগস্ট, ২০২১, ৯:২৬ এএম says : 0
    আমি এক জন সাধারন জনগন হিসাবে এর তিব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ