পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মৌলভীবাজার জেলা জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সাবেক সভাপতি, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের প্রখ্যাত আলেম ও মৌলভীবাজার টাউন মডেল কামিল মাদরাসার সাবেক প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সাহেব বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টায় নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। ইন্নাল্লিাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। ইন্তেকাল কালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র ও তিন কন্যাসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে যান।
মরহুম মাওলানা আব্দুল কাইয়ূমের ইন্তেকালে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন ও মহাসচিব প্রিন্সিপাল শাব্বীর আহমদ মোমতাজী গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। নেতৃদ্বয় এক শোক বানীতে বলেন, আলহাজ মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সাহেব ছিলেন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের একনিষ্ঠ ও নিরলস কর্মী। আতিথিয়তায় তিনি ছিলেন উদার মনের অধিকারী। মরহুম ফুলতলী সাহেবজাদার অত্যন্ত আস্থাভাজন এই নেতা জমিয়াতুল মোদার্রেছীনকে সুসংগঠিত ও গতিশীল করার লক্ষ্যে সর্বদাই সচেষ্ট থাকতেন। দেশের প্রবীন আলেদের মধ্যে অন্যতম আলহাজ মাওলানা আব্দুল কাইয়ুমের ইন্তেকালে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। সেইসাথে তাঁর শোকাহত পরিবার পরিজন, আত্মীয়, গুনগ্রহীসহ সকল ভক্তবৃন্দের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এমন শোকার্ত সময়ে যেন সকলেই ধৈয্যধারণ করতে পারে ও মরহুমের রূহের মাগফিরাতে নেতৃদ্বয় আল্লাহর দরবারে দোয়া প্রার্থনা করেন। মরহুমের প্রথম নামাজের জানাযা গতকাল বেলা আড়াইটায় হযরত সৈয়দ শাহ্ মোস্তফা (র:) পৌর ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতিতে ঈদগাহ ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। জানাযার নামাজের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, বাংলাদেশ অঞ্জুমানে আল ইসলাহ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাওলানা হুসাম উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী, জেলা পরিষেদের চেয়ারম্যান মিসবাহুর রহমান, পৌর মেয়র ফজলুর রহমান প্রমুখ। পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মরহুমের পুত্র তানজুম আহমদ সিদ্দিকি। নামাজে যানাজায় ইমামতি করেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম সাহেব কিবলা ফুলতলীর দ্বিতীয় ছেলে মাওলানা নজমুদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী।
পরে মরহুমের লাশ নিয়ে যাওয়া হয় নিজ এলাকা বড়লেখা উপজেলার মুরাউল গ্রামে। সেখানে বাদ আছর দ্বিতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তার লাশ দাফন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।