পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আন্দিকোট ইউনিয়নের ভূমি অফিসের আওতাধীন বাঙ্গরা বাজার থানার হায়দরাবাদ মৌজায় সরকারি খালে চলছে অবৈধ স্থাপনা। ইতোমধ্যে সরকারি খালের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা পাকা দালানকোঠার কাজ অব্যাহত রেখেছে দখলদাররা। এভাবে দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি ছুটির দিনে মিস্ত্রি আর শ্রমিক লাগিয়ে নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছে দখলদাররা।
সরকারি খালের জায়গায় উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানোর সব প্রক্রিয়া প্রশাসনিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার পরও দখলদাররা এটিকে নিজেদের সম্পত্তি মনে করছে। গতকাল শুক্রবার দিনভর দখলদারদের নেতৃত্বে খালের জায়গায় নির্মাণাধীন পাকা দালানের দরজা স্থাপনের কাজ করেছে শ্রমিকরা।
বিষয়টি জানার পর মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, ‘উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। করোনা বিধি নিষেধ শিথিল সাপেক্ষে উচ্ছেদ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এটি উচ্ছেদের বিষয় চূড়ান্ত। তাই দখল করা জায়গায় নির্মাণাধীন স্থাপনায় যতই কাজ করুক কোন লাভ নেই। কাজ করলেও এটি উচ্ছেদ হবে, না করলেও উচ্ছেদ হবে।
উল্লেখ্য, সরকারি খালের জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণের শুরুতেই বাঁধা দেন আন্দিকোট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ভূমি অফিসের লোকজন। পরে বাঙ্গরা থানা পুলিশ এসেও স্থাপনা নির্মাণে বাধা দেয়। এরপর মুরাদনগরের বিদায়ী সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম কমল সরকারি খাসের খালের জায়গায় কাজ বন্ধসহ নির্মাণাধীন স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দেন দখলদারদের।
এছাড়াও হায়দরাবাদ সামছুল হক কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম কলেজ সীমানা ঘেঁষে চলমান খাল দখলের কারণে পরিবেশের ক্ষতি, পানি নিস্কাশনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়া এবং শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা উল্লেখ করে খালের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের দাবি জানিয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।