Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নারী ইন্সপেক্টরকে ধর্ষণ, এফআইআর গ্রহণ করলো থানা পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২১, ৭:২৮ পিএম

পিবিআইয়ে কর্মরত পুলিশ সুপার (এসপি) মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে তারই সহকর্মী এক নারী ইন্সপেক্টর আদালতে ধর্ষণের যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, সেটি ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট (এফআইআর) হিসেবে গ্রহণ করেছে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ। যে ঘটনা বিভিন্ন মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। যা নিয়ে নানান গুঞ্জন চলছে এবং মানুষের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে।

অভিযোগ করা হচ্ছে, দেশ-বিদেশে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওই নারী কর্মকর্তাকে নিয়ে ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৮ দিন ধর্ষণ করেছেন এসপি মোক্তার।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ অভিযোগটিকে মামলা হিসেবে গ্রহণ করা আবেদন জানান ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তা। এরপরই একইদিন বিকেলে ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা আবেদন এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করতে উত্তরা পূর্ব থানাকে নির্দেশ দেয় আদালত। সেই নির্দেশ মোতাবেক গতকাল রাতেই অভিযোগটিকে মামলা (নং-০৭) হিসেবে গ্রহণ করে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উত্তরা পূর্ব থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আলমগীর গাজী। তিনি বলেন, মামলার বাদিনী আমাদের থানায় এখনও আসেনি। তবে আমরা আদালতের নির্দেশের ডকুমেন্ট হাতে পেয়ে সেটির এফআইআর গ্রহণ করেছি। এখন যথাযথ আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো।

জাতিসংঘ শান্তি মিশনে থাকাকালীন অবস্থায় ধর্ষণের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। গতকাল ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা জানিয়েছেন, মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, মামলার বাদী এবং অভিযুক্ত দুই জনেই সুদানে জাতিসংঘ শান্তি মিশনের কর্মরত ছিলেন।

অভিযুক্ত পুলিশ সুপার ওই শান্তি মিশনে পুলিশের কন্টিনজেন্টের কমান্ডার ছিলেন। সেখানে অবস্থানকালীন এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ওই নারী পুলিশ ইন্সপেক্টরকে অভিযুক্ত পুলিশ সুপার নানা সময়ে যোগাযোগ করতেন।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে একদিন পেটের সমস্যার কথা উল্লেখে করে ওই পুলিশ ইন্সপেক্টরকে দুপুর বেলায় তাকে রান্না করে খাওয়ানোর কথা বলেন। এরপর সেখানে যাওয়ার পর তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর (১) ধারায় মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।



 

Show all comments
  • মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ১৩ আগস্ট, ২০২১, ৯:৩৫ পিএম says : 0
    বেকবাস বন্ধ করে এই সমস্ত কেইচ গ্রহন না করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান রইল,যে সময় ধর্ষণ করেছে সে সময় থেকে ঐ নারী কয় বার দেশে আসিয়াছে ,আগে যাচাই করুন পরে মামলা নিবেন,দেখেন মিলন যে সময় করেছে ঐ সময় তার কাছে আরাম লেগেছে।অন্নথায় সে এতো বসর বলেন নাই কি জন্য,নিশ্চয় এটা সড়যনতড়।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Kamal ১৩ আগস্ট, ২০২১, ১০:০৯ পিএম says : 0
    তদন্ত করে ন্যায় বিচার করা হোক ।
    Total Reply(0) Reply
  • মাস্টার আমিনুল ইসলাম ১৩ আগস্ট, ২০২১, ১১:০১ পিএম says : 0
    সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করছি শুধু পুরুষের বিচার করলে অপরাদ কমবে না সেই সাথে নারীদের কে বিচারের আওতায় আনতে হবে। কারণ প্রথম যখন ধর্ষণ করছে তখন বলেনি কেনো এরপর ১৭ বার ধর্ষণ করে কি ভাবে আমার মনে হয় এর মাঝে কোন রহষ্য আছে,
    Total Reply(0) Reply
  • Dr.Harun Ur Rashid ১৩ আগস্ট, ২০২১, ১১:০২ পিএম says : 0
    Be Nazir
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ মোজহারুল ইসলাম ১৪ আগস্ট, ২০২১, ৮:৩৩ এএম says : 0
    বাংলাদেশে যদি আইনের যথাযত বিচার থাকতো তা হলে কেউ অপরাধ করে পার পেয়ে যেত না। রক্ষক যদি ভক্ষকের কাজ করে তা হলে আমরা নিরীহ মানুষ কার কাছে বিচার চাইবো। আমরা চাই প্রত্যেক জায়গায় ন্যয় বিচার হউক।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নারী ইন্সপেক্টরকে ধর্ষণ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ