প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
অনেক বিতর্ক ও মেয়ের অভিযোগের পর অবশেষে ব্রিটনি স্পিয়ার্সের তত্ত্বাবধায়ক বা কনজারভেটরের দায়িত্ব থেকে সরতে রাজি হয়েছেন বাবা জেমি স্পিয়ার্স। তিনি নিজের মেয়ের সঙ্গে জনসম্মুখে এমন লড়াইয়ে আগ্রহী নন। তাই তিনি পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর এমন অন্যায্য আবেদনের বিরুদ্ধে লড়াই না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়ার বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
তবে স্পিয়ার্সের পদত্যাগের জন্য করা পিটিশনের জবাবে আদালতে দায়ের করা আরেকটি আবেদনে বলা হয়, "প্রকৃতপক্ষে, এস্টেটের কনজারভেটরের পদ থেকে জেমি স্পিয়ার্সকে অপসারণের কোনো কারণ নেই"; বরং এই সময়ে কনজারভেটর পরিবর্তন, ব্রিটনি স্পিয়ার্সের স্বার্থের কতটুকু অনুকূলে হবে তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু জেমি স্পিয়ার্স নিজের মেয়ের সঙ্গে জনসম্মুখে এমন লড়াইয়ে আগ্রহী নন। তাই তিনি পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর এমন অন্যায্য আবেদনের বিরুদ্ধে লড়াই না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন; এবং আইনি প্রক্রিয়ায় নতুন কনজারভেটরের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে রাজি আছেন বলে জানিয়েছেন।
জেমি স্পিয়ার্স মামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, তিনি কনজারভেটর হিসেবে তার সকল দায়-দায়িত্ব আইনি মাধ্যমে ব্যাখ্যা এবং মামলার বিষয়গুলো সমাধানের মাধ্যমে নতুন কনজারভেটরকে সুশৃঙ্খলভাবে দায়িত্ব স্থানান্তর করতে চান।
জেমি স্পিয়ার্সের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, তার আনুষ্ঠানিক উপাধি (ফরমাল টাইটেল) যাই হোক না কেন, জেমি স্পিয়ার্স সব সময়ই ব্রিটনির বাবা থাকবেন এবং তিনি তার মেয়েকে নিঃশর্তভাবে ভালবেসে যাবেন।
বাবা-মেয়ের এই আইনি লড়াই শুরু হয় সম্পত্তির হিসাবকে কেন্দ্র করে। ব্রিটনি স্পিয়ার্সের আইনজীবী ম্যাথিউ রোজেনগার্ট জানিয়েছেন, বিগত ১৩ বছর ধরে বাবা জেমি স্পিয়ার্স মেয়ে ব্রিটনি স্পিয়ার্সের সম্পত্তি থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন। চলতি বছর ‘ফ্রেমিং ব্রিটনি স্পিয়ার্স’ নামের এক প্রামাণ্যচিত্রে গায়িকার অভিভাবকত্ব নিয়ে বিতর্ক খুব খোলামেলাভাবে ওঠে আসে। মাস খানের আগে ব্রিটনি বিচারকের কাছে অভিযোগ করেন, তাকে মাদকাসক্ত করা হয়েছিল, ইচ্ছার বিরুদ্ধে পারফর্ম করতে বাধ্য করা হয় এবং গর্ভধারণে বাধা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, একাধিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সাল থেকে নিজের ওপর থেকে অভিভাবকত্ব হারান ব্রিটনি স্পিয়ার্স। তখন জেমি স্পিয়ার্স আনুমানিক ৬ কোটি ডলার সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পান। গায়িকার অসুস্থতার কারণে আদালত থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিষয়টি মানতে না পারায় ২০১৭ সাল থেকে পারফর্ম করছেন না ব্রিটনি। ২০১৯ সালে স্বাস্থ্যগত কারণে মেয়ের ব্যক্তিগত তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব ছেড়ে দেন জেমি। তবে সম্পত্তির দেখভালের দায়িত্ব তার হাতেই ছিল। কিন্তু সেখান থেকেও সরাতে গত জুলাইয়ে আবেদন করেন গায়িকা। ‘দায়িত্বের অপব্যবহারের’ অভিযোগ এনে পরবর্তীতে জেমিকে সরানোর দাবি তোলেন ব্রিটনি। এমনকি ব্রিটনির ভক্তরা ‘ফ্রি ব্রিটনি’ হ্যাশট্যাগে প্রচার শুরু করে। যাতে সায় আছে অনেক নামি তারকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।