Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

তাওবার মাধ্যমেই হিজরী নববর্ষ উদযাপন করতে হবে জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২১, ৪:৪৫ পিএম

তাওবার মাধ্যমেই হিজরী নববর্ষ উদযাপন করতে হবে। ইসলামের বিজয় আনন্দ উৎসবের মধ্যে দিয়ে আসেনি বরং কষ্টের মধ্য দিয়ে এসেছে। আর হিজরতই ছিল একমাত্র জীবনের ঝুঁকি, সীমাহীন কষ্ট ও অনিশ্চিত জীবন চলার পথ। বিভিন্ন মসজিদে আজ জুমার বয়ানে পেশ ইমাম এসব কথা বলেন। নগরীর মসজিদগুলোতে স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় রাস্তার উপর মুসল্লিদের জুমার নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে। মসজিদগুলোতে করোনা মহামারি থেকে মুক্তি, ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে শহীদ বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা , দেশ জাতির উন্নতি সমৃদ্ধি এবং মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। ঢাকার লালমাটিয়াস্থ মসজিদে বাতুল হারাম এর খতিব মাওলানা কাজী আবু হোরায়রা আজ জুমার খুৎবাপূর্ব বয়ানে হিজরী সনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, রাসুল (সা.) এর মদীনা মুনাওয়ারায় হিজরতের ১৬ বছর পর ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর ফারুক (রা.) সাহাবায়ে কেরামের পরামর্শ নিয়ে ইসলামি হিজরী সন চালু করেন। হিজরী সন চালু প্রসঙ্গে হযরত ওমর (রা.) হযরত আলী (রা.) এর মতামত জানতে চাইলে আলী (রা.) ঐ সব প্রস্তাবে রাজী না হয়ে মহানবী (সা.) এর হিজরতকে উপলক্ষ করে নতুন ইসলামী সন চালু করার প্রস্তাব করেন। খলিফা (রা.) হজরত আলীর প্রস্তাবে একমত পোষণ করেন। এর কারণগুলো হলো হিজরত হলো ইসলামের বিজয় সূচনার বাহন, হিজরত সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্যকারী একটি সোপান। কোরআন নাজিল, নবুয়াতের সূচনা, মিরাজ ইত্যাদি সুখবর ও আনন্দদায়ক বিষয়। কিন্ত ইসলামের বিজয় আনন্দ উৎসবের মধ্যে দিয়ে আসেনি বরং কষ্টের মধ্য দিয়ে এসেছে। আর হিজরতই ছিল একমাত্র জীবনের ঝুকি, সীমাহীন কষ্ট ও অনিশ্চিত জীবন চলার পথ। মুহাররম মাস থেকে সন গণনা করার প্রস্তাব করেন হযরত ওসমান (রা.) এ প্রস্তাব ও গৃহিত হয়। কারণ মুহররম মাসে আল্লাহ তায়ালা পৃথিবী তথা আসমান জমিন সৃষ্টি করেছেন। এ ছাড়া এ মাসে রয়েছে আশুরা।

খতিব বলেন, আজ মুসলমানদের দোরগোড়ায় হিজরী সন, হিজরতের গুরুত্ব ও শিক্ষা এবং ত্যাগের মাস মুহররম উপস্থিত। কিভাবে ইসলামের বিজয় আসল আজকের মুসলমানরা সে ইতিহাস জানেনা এবং পড়েও না। আজকের মুসলমানরা ইসলামী সন গণনা না করে শিরকের উপর প্রতিষ্ঠিত ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। আজকের মুসলমানরা জানে না কারবালার ময়দানে ১০ মুহররম সত্যকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সপরিবারে কেন শাহাদাত বরণ করেছিলেন নবী দৌহিএ হযরত হুসাইন (রা.)। আজ ইসলামের ইতিহাস ও তার শিক্ষা থেকে মুসলমানদের দূরে সরিয়ে দিয়ে সেখানে অশ্লীলতা ও ভোগবাদিতার মধ্যে ডুবিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্ত আমাদের কাছে এই দ্বীন আল্লাহর আমানত। তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে এবং আমানতের হেফাজতের জবাব দিতে হবে। আসুন সময় থাকতে আমরা ইসলামের সুমহান বিষয়গুলো থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আমাদের জীবনকে আলোকিত করি। আল্লাহ তৌফিক দিন।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম ও ভারপ্রাপ্ত খতিব মুফতি মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহিল বাকী আজ জুমার বয়ানে বলেন, ১৪৪৩ হিজরীর প্রথম জুমা আজ। জীবনে আরো একটি নতুন হিজরী বর্ষ পেয়েছি, এই পাওয়া আমাদের জীবন থেকে আরো একটি বছর হারিয়ে গেছে এটাই স্মরণ করিয়ে দেয়। হারানো বছরে কত লোক দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন। আমিও চলে যেতে পারতাম, আমি চলে গেলে পুঁজিবিহীন দুর্ভাগা অবস্থায় চলে যেতাম। কারণ হারানো একটি বছরের পুঁজির বিনিময়ে আমার কি অর্জন ছিল, নাফরমানী আর আল্লাহ তায়ালার অসন্তুষ্টি ছাড়া আর কিছুই ছিল না। হারানো বছরের গুনাহের জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে তাওবার মাধ্যমে মাফ চাইলে আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দিবেন। এতে করে নতুন শুরু হওয়া বছরটা কবরের পাথেয় অর্জনের বছর হতে পারে। আমাদের বোকামীর অন্ত নেই সেই জন্য একটি বছর হারানোর পর লাভ-ক্ষতি হিসাব না কষে নববর্ষের আনন্দ উদযাপনে মেতে উঠি। রাসুলে পাক (সা.) বলেন, আমি দিনে সত্তরবারের উর্ধে ভিন্ন বর্ণনামতে একশত বারের উর্ধে তাওবা করি। রাসুলে পাক (সা.) নিষ্পাপ, তাঁর একটি মুহুর্তও তিঁনি অপচয় করেছেন বা তাঁর অপচয় হয়েছে মুমিন বলতেই এটা বিশ্বাস করে না। তিঁনি একটি দিন অতিবাহিত হওয়ার সময় এই দিনকে কতটুকু কাজে লাগানো হয়েছে? এই দিনে কতটুকু অর্জন হয়েছে? আল্লাহ তায়ালার অসীম মর্যাদার সামনে আমি সসীম এর কি উত্তর হবে? এই ভেবে রাসুলে পাক (সা.) সত্তর বার তাওবা করতেন। জীবনে একটি বছর চলে গেছে যা কোনো দিন ফিরে আসবে না। এ বিষয়ে আমাদের কোন অনুশোচনা নেই। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “যারা অশ্লীল কাজে লিপ্ত হয়েছে বা নিজের উপর জুলুম করেছে অতঃপর আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করে নিজের গুনাহের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। কেননা আল্লাহ তায়ালা ছাড়া ক্ষমা কারার কে আছে?”

পেশ ইমাম বলেন, অতএব হিজরী নববর্ষ উদযাপন হবে তাওবার মাধ্যমে। ইসলামে চারটি সম্মানিত মাস রয়েছে, মাহে জিলক্বাদ, জিলহজ, মুহাররম ও রজব। হিজরী বর্ষের শেষ মাসটি হল জিলহজ তথা সম্মানিত মাস। হিজরী বর্ষের শুরুর মাসটি হল মুহাররম তথা সম্মানিত মাস। বান্দার বছরের শুরু শেষ যেন সম্মান জনকভাবে হয় তার জন্য হিজরী বর্ষের শুরু শেষ দুটাকেই সম্মানিত মাস দিয়ে করা হয়েছে। বান্দার গুনাহ হয়ে যায়, গুনাহ হওয়া মানে অসম্মানিত হয়ে যাওয়া। এই অসম্মান থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হলো তাওবা ও আল্লাহ তায়ালার দাসত্ব। আল্লাহ তায়ালা সবসময় তাওবা কবুল করলেও তাওবা কবুল করার জন্য আল্লাহ তায়ালা কিছু রাত, দিন, ক্ষণ, মাসকে পিক-আওয়ার হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। যেমন রমজান, লাইলাতুল কদর , শেষরাত্রি, ঈদের রাত্রি, এর মধ্যে হিজরী নববর্ষের শুরুর মাস তথা মুহাররম মাসটি ও খুব গুরুত্বপূর্ণ মার্যাদা পূর্ণ মাস। এ মাসটিকে বলা হয় শাহরুল্লাহিল মুহাররম, তথা সম্মানিত আল্লাহর মাস। সব মাসইতো আল্লাহ তায়ালার মাস। মুহররম মাসটিকে বিশেষ মর্যাদা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে আল্লাহ তায়ালার মাস। এ মাসের ফজিলত সম্পর্কে হযরত আবুজর বলেন, “আমি রাসুলে পাক (সা.) থেকে জিজ্ঞাসা করলাম, রাতের উত্তম অংশ কোনটা? উত্তম মাস কোনটা? রাসুলে পাক (সা.) উত্তর দেন- রাতের উত্তম অংশ মধ্যরার আর উত্তম মাস মুহাররম যেটাকে তোমরা আল্লাহ তায়ালার মাস বলে থাক।” নাসায়ী শরীফ। রমজানের পরে উত্তম মাস হল মুহাররম। এরকমভাবে রাসুলে পাক (সা.) বলেন-রমজানের পরে সবচাইতে উত্তম রোজা হল মুহাররমের রোজা। মুসলিম শরীফ। রমজানের রোজার পরে সবচাইতে মর্যাদাপূর্ণ রোজা হল শাবান ও মুহাররমের রোজা। মুহাররম মাসে এমন একটি রোজাও আছে যেই রোজাটির ব্যাপারে রাসুলে পাক (সা.) বলেন, আশুরা তথা মুহাররমের দশ তারিখের রোজার বিনিময়ে আমি আল্লাহ তায়ালার কাছে আশাকরি আল্লাহ তায়ালা এর বিনিময়ে পূর্বের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন। এই রোজা রাখার নিয়ম হলো দশ-ই-মুহাররমের সাথে পূর্বে অথবা পরে একদিন যোগ করে দুটি রোজা রাখা। তাওবা ও ইবাদাতের মাধ্যমে হিজরীর এই বর্ষকে আখিরাতের পুঁজি হিসেবে গঠন করার আল্লাহ তায়ালা যেন তৌফিক দান করেন। আমিন।

ঢাকার মিরপুরের ঐতিহ্যবাহী বাইতুল মামুর জামে মসজিদ এর খতিব মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, মুহাররম মাস হিজরী সনের প্রথম মাস। এ মাসের সম্মান ও মর্যাদা অধিক হওয়ার কারণে রাসুল (সা.) এ মাসকে “ শাহরুল্লাহ “ তথা আল্লাহর মাস বলে অভিহিত করেছেন। রমজানের পরেই এ মাসের রোজা অন্যান্য নফল রোজা থেকে অধিক গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পন্ন বলে ইসলামি শরীয়তে প্রমাণিত। হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত নবী করীম (সা.) বলেন, ‘রমজানের পর আল্লাহর মাস মুহাররমের রোজা হল সর্বশ্রেষ্ঠ। (সহীহ মুসলিম ২/৩৬৮)। নবী কারীম (সা.) আরও বলেন, আমি আশাবাদী যে, আশুরার দিনের রোজার উসিলায় আল্লাহ তায়ালা অতীতের এক বৎসরের গুনাহ মাফ করে দিবেন। ( জামে তিরমিযী ১/১৫৮)। তাই এ মাসে স্বাধ্যমত অধিক পরিমাণে রোজা রাখা (বিশেষ করে ৯ তারিখ বা ১১ তারিখ এর সাথে মিলিয়ে আশুরার দিনে রোযা রাখা) ,

খতিব এ মাসের শিক্ষা হিসাবে মুসলিমদেরকে অধিক পরিমাণে নেক আমল করার সাথে সাথে আশুরার দিনে নকল কবর বানানো, কৃত্রিম বিলাপ ও মর্সিয়া, ক্রন্দন, মাতম এবং ছুরি মেরে নিজের বুক ও পিঠ রক্তাক্ত করা, ঢাক-ঢোল বাদ্যযন্ত্র বাজানো এবং হযরত হুসাইন রাযি.-এর নামে ছোট বাচ্চাদেরকে ভিক্ষুক বানিয়ে ভিক্ষা করানোসহ অন্যান্য শিরক, বিদআত ও অনৈসলামি কার্য্যকালাপ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন এবং মুহাররম ও আশুরার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে অন্যায়-অবিচার, দুর্নীতি দুরাচার, মদ-জুয়া, বেহায়া-বেলেল্লাপনার বিরুদ্ধে মানুষের অধিকার রক্ষার্থে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার প্রতি উদাত্ব আহবান জানান। আল্লাহ সকলকে কবুল করেন।

নগরীর দক্ষিণ মুগদা ব্যাংক কলোনী রসুলবাগ জামে মসজিদের খতিব আল্লামা আব্দুল গণি আজ জুমার বয়ানে
মুহররমের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, ঈমানী তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে হিজরী নববর্ষ উদযাপন করতে হবে। মহান আল্লাহপাকের নৈকট্য হাসিলে প্রত্যেম মুসলমানকেই তাকওয়াভিত্তিক জিন্দেগী অর্জন করতে হবে। খতিব বলেন, নবী কারীম (সা.) ইরশাদ করেন, এই মাসে এমন একটি দিন আছে (আশুরার দিন ) যাতে আল্লাহ তায়ালা অতীতে একটি স¤প্রদায়কে ক্ষমা করেছেন এবং ভবিষ্যতেও অপরাপর স¤প্রদায়কে ক্ষমা করবেন (তিরমিযীঃ নং ৭৪১) এবং দ্বীনের খাতিরে আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে এই দিনে হযরত হুসাইন (রাযি.) যেমন অন্যায়, অবিচার ও অসত্যের বিরুদ্ধে “বুনইয়ানুম মারছুছ” সাদৃশ্য: লৌহ ইস্পাত তুল্য কঠিন সংগ্রামের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ত্যাগ তথা জীবন বিসর্জনের (শাহাদাতের সূধা পানের ) দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তেমন প্রত্যেক মুসলমানের দ্বীনের জন্য যে কোন ধরণের কোরবানি পেশ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
মিরপুরের বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, সৃষ্টির শুরু থেকে মুহররমের ১০ তারিখ তথা আশুরার দিনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। ফলে আশুরার মর্যাদা ও মাহাত্ম্য উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। যেমন, আসমান ও জমিনসহ সমগ্র সৃষ্টিকুলের প্রাথমিক বিভাজন প্রক্রিয়ার সূচনা হয় আশুরায়। হযরত আদম আ. এর সৃষ্টি ও পৃথিবীতে অবতরণ, মহাপ্লাবনের সময় হযরত নুহ আ. এর নৌযানের যাত্রা শুরু এবং প্লাবনের পরিসমাপ্তি এই আশুরাতেই ঘটেছিল। হযরত মুসা আ. ও বনী ইসরাঈলের সমুদ্রপথে রওনা এবং অত্যাচারী শাসক ফেরাউনের কবল থেকে মুক্তি লাভের দিনটি ছিল আশুরা। এরই ধারাবাহিকতায় আল্লাহর রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সা.) আশুরার দিনে কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনার কথা বলেছেন। অনেকেই ধারণা করেন, আশুরার ফজিলত কারবালার প্রান্তরে নবীজীর (সা.) দৌহিত্র হযরত হোসাইন রা. এর শাহাদাতের সাথে সম্পৃক্ত। অথচ বিষয়টি তেমন নয়। বরং আশুরার ফজিলত হযরত আদম আ. এর যুগ থেকেই। এ দিনে আমাদের করণীয় আমল হচ্ছে, রোজা রাখা। তবে এর সাথে ৯ বা ১১ তারিখ মিলিয়ে রাখা। কারণ নবী কারীম (সা.) ইরশাদ করেন, তোমরা আশুরার দিনে রোজা রাখ। তবে এ ক্ষেত্রে ইয়াহুদীদের থেকে ভিন্নতা অবলম্বন করতঃ আশুরার পূর্বে অথবা পরের একদিনসহ রোজা রাখবে। (মুসনাদে আহমাদ-হা. নং ২৪১)। এ রোজার ফজিলত অনেক। নবী কারীম (সা.) ইরশাদ করেন "আমি আশাবাদী, আশুরার দিনের রোজার উসীলায় আল্লাহ তায়ালা অতীতের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন।” (তিরমিযী-হা. নং ৭৫১)। এই দিন বেশী বেশী তওবা ইস্তিগফার করা। দ্বীনের খাতিরে হযরত হোসাইন রা. যে ত্যাগ-তিতিক্ষা পেশ করেছেন তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে দ্বীনের জন্য যে কোন ত্যাগ ও কোরবানির জন্য প্রস্তুত থাকা। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তৌফকি দান করেন। আমীন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পেশ ইমাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ