Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনোদনকেন্দ্র ও গণপরিবহন পুরোপুরি খুলে দেয়ায় সামাজিক মাধ্যমে যে প্রতিক্রিয়া

আব্দুল মোমিন | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২১, ১১:৪৫ এএম | আপডেট : ১:৩৪ পিএম, ১৩ আগস্ট, ২০২১

করোনার পরিস্থিতির অবনতি অবস্থায় সরকার সকল গণপরিবহন চালু ও পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ার প্রজ্ঞাপন জারি করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই এনিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। আবার অনেকে এই সিদ্ধান্তকে সমর্থনও করেছেন। তবে সবকিছু খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন খুলে দেওয়া হচ্ছে না সেই প্রশ্ন তুলেছেন অসংখ্য মানুষ।

নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপণে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৯ আগস্ট থেকে সড়ক, রেল ও নৌপথে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। একই দিন থেকে পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র চালু রাখা হবে। তবে ধারণক্ষমতার অর্ধেক দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবেন।

আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে চলা বিধিনিষেধ আর প্রায় থাকল না। যদিও পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আপাতত বন্ধই থাকছে।

সরকারের বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে ইবনে হাফিজ রব্বানী লিখেছেন, ‘‘আগে মৃত্যুহার কম ছিল, তারপরও দেয়া হলো কঠোর লকডাউন!মানুষ না পারলো ঈদের মত একটা গুরুত্বপূর্ণ উৎসবটাকে ঠিকভাবে উদযাপন করতে আর না পারলো পরিবারের সাথে ছুটিটা শান্তিমত কাটাতে! জীবন-জীবিকার জন্য কিছু করতে গেলেই মাফিয়া সরকারের পোষা কুকুরদের হাতে নির্মমভাবে দিনের পর দিন নাজেহাল হতে হলো তাদের!অথচ সাম্প্রতিককালেই করোনায় মৃত্যুহার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে, এখন দিয়েছে সব খুলে!তাহলে এত দিনের এসব তামাশার মানেটা কী?’’

জুই লাবোন্ন লিখেছেন, ‘১১ দিন মানুষকে ঘরে বন্দী করে রাখল তারপর আবার সবকিছু খুলে দিবে তারপর আবার পরিস্থিতি খারাপ হবে তারপর আবার মানুষকে বন্দী করে দিবে একি খেলা ভাই। আর ওদিকে ছাত্রছাত্রীরা বয়স্ক ভাতা প্রাপ্ত হয়ে যাচ্ছে সেদিকে খেয়াল নাই।’’

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে ফজলে হক লিখেছেন, ‘‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন!! এসব পর্যটন-বিনোদন কেন্দ্র, গনপরিবহন, মার্কেট, রাস্তাঘাট, হাটবাজার সব জায়গায় এই স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরাই বিচরন করবে! এতে করে তাদের সমস্যা না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়!!!!প্লীজ যে কোন কায়দা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন! এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে!! এদেরকে রক্ষা করুন প্লীজ!!!!’’

মোছাঃ বাবুনি খাতুনের প্রশ্ন, ‘‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কি দোষ করল? আমাদের সবার দাবি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি খুলে দেয়া হোক,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দেয়া হলে এই দেশের বাচ্চাদের উপর মানসিক চাপ কমবে না, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার কারণে অনেক ছেলে মেয়ের অনেক দিক থেকে সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। আর শিক্ষার প্রতিষ্ঠান না খুললেই হবে শিক্ষা জাতি অন্ধ।’’

সাবনাম প্রিয়ার মন্তব্য, ‘‘দীর্ঘদিন লকডাউন থাকায় অনেক মানুষের ক্ষতি হয়েছে। লকডাউন খুলে দেওয়ায় তারা অত্যন্ত খুশি হয়েছে বলেই আমার মনে হয়। কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মনে চলার কথা ভুলে গেলে হবে না।’’

আফিদ হাসান সমালোচনা করে লিখেছেন, ‘‘দেশের পরিস্থিতি কোন দিক দিয়ে পর্যন্টন ক্রেন্দ্র, বিনোদন কেন্দ্র খুলার মত অবস্থায় আছে শুনি??? বিশ্বের কোন দেশ ২৫-৩০% শনাক্তের হারে এসব খোলা রাখছিল??? নীতি-নির্ধারকরা মেয়াদ উত্তীর্ণ গাঁজা খাওয়া ছাড়বে কবে? করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪০-৫০ থেকে ১০০+ আর এরপরে ২০০+ হওয়াতে এই খাতগুলা অন্যতম প্রধান কারন ছিল (এইটা শুধুই সরকারি হিসাব, আসল মৃতের সংখ্যা ৪/৫ গুণ বেশি) এইযে পর্যটন কেন্দ্র, বিনোদন কেন্দ্র সব খুলে দিচ্ছে। গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি ১৯ তারিখ থেকে কক্সবাজার, সাজেক, পতেঙা, সেইন্ট মার্টিন মানুষে গিজগিজ করবে যেটার ভয়ানক ফলাফল দেখাবে ২৮ আগস্ট থেকে।’’

উম্মে সোবেত লিখেছেন, ‘‘যারা ঘরে বসে অর্থনৈতিক ভাবে ভেঙ্গে পরেছেন, তাদের আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ এসেছে। কাজ করে পরিবার এর মুখে সকলেই হাসি ফোটাক এই দোয়া করি।’’

করার জন্য। অসহায়, এতিম শিক্ষাখাত !



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সোশ্যাল মিডিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ