Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সরকার কেন ভয় পাচ্ছে?

বিবৃতিতে প্রশ্ন মুফতী ফয়জুল করীমের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, দেশের সবকিছু স্বাভাবিক হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলায় অভিভাবকরা চরম উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছেন। মাদরাসা, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্তে আসা উচিত সরকারের।

গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি ওইসব কথা বলেন। কওমি মাদরাসাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের টিকাদান দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা উচিত বলে তিনি মনে করেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে জাতিকে মুখ বানানোর পাঁয়তারা করছে সরকার। শিল্প কল-কারখানা, মার্কেট, শপিংমল খুলে দেয়া হয়েছে। পর্যটন-বিনোদন কেন্দ্রও খুলে দেওয়া হচ্ছে। এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সরকার ভয় পাচ্ছে কেন?

মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, মহামারি করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষার সঙ্গে জড়িত সবকিছুতেই বিপর্যয় নেমে এসেছে। লাগাতার ১৮ মাস ধরে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। মাঝখানে কিছুদিন কওমি মাদরাসা চালু থাকলেও গত এপ্রিল থেকে আবারো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আলিয়া মাদরাসাও খোলেনি গত ১৮ মাসে। স্কুল, কলেজ ও আলিয়া মাদরাসার সকল ধরণের পরীক্ষা বন্ধ। গত বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অটো পাস দেয়া হয়েছে। এ বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা এখনো হয়নি। পরীক্ষা হবে কি না, তাও স্পষ্ট নয়। শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিল ছেড়ে এবারও অটো পাসের অপেক্ষায়।

দেশের প্রায় ৪ কোটি ছাত্র-ছাত্রী নিয়মতান্ত্রিক লেখাপড়া থেকে শুধু বঞ্চিত হচ্ছে তাই নয়, অনেকের শিক্ষাজীবনই শেষ হয়ে যাচ্ছে। অনেকে নানারকম অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। মাদকাসক্ত হয়েছে অনেক ছাত্র-ছাত্রী। অনলাইনে পড়াশুনার অজুহাতে ছাত্র-ছাত্রীদের একটি বিপুল অংশ অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন গেমসে আসক্ত হয়ে গেছে। মোবাইল আসক্তি তরুণ ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সীমা ছাড়িয়ে গেছে।

তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে আর্থিক বিপর্যয়েও লাখ লাখ পরিবার পথে বসেছে। লাখ লাখ নন-এমপিও শিক্ষক বেকার হয়ে গেছেন। তারা বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। শিক্ষকরা চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারের উদাসীনতা, অদূরদর্শিতা ও খামখেয়ালীতে দেশের শিক্ষাখাত আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

তিনি বলেন, সরকার চাচ্ছে সবাইকে ভ্যাকসিন দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে। কিন্তু ভ্যাকসিন নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সহসাই সবাই ভ্যাকসিন পেয়ে যাবে, এমন আশা করা যায় না। ভ্যাকসিন নিয়ে তেলেসমাতি চলছে। তিনি আর সময় না বাড়িয়ে অতিদ্রæত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ